বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৬:০১ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে গত সোমবার ১৬ (সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলনকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন সিপাইপাড়া বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী বিএনপি সমর্থক ওবায়দুল হক (৪৫)।
মামলার অপর আসামীরা হলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলার হাওয়াজোত গ্রামের আয়ুব আলী (৫৫), একই গ্রামের হাসান(২৭), হিমু (৪০), মাসুম (২৮), দগরবাড়ী গ্রামের জিয়ারুল (৩৫), ফুটকিবাড়ি গ্রামের রুস্তম (৩৩), দগরবাড়ী গ্রামের আহসান হাবীব (৩৫), দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ গ্রামের আঃ রহমান (৩০), দরগাসিং গ্রামের আনিছুর রহমান (৩০), হাকিমপুর গ্রামের পাভেল হোসেন (১৯), হাওয়াজোত গ্রামের শুক্রু (৫০), আকাশ (২৩), তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও হ্নদয় (২৯)। এছাড়া অজ্ঞাত রয়েছেন ৩৫০ জন।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, সোমবার সংর্ঘষের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ স্থানীয়দের সহায়তায় ৭ জনকে পুলিশি হেফাযতে নেয়া হয়। মঙ্গলবার ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হলে ওই ৭ জনকে আটক করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলার প্রধান আসামী বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদর-ই খুদা বলেন, গত সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আমি এলাকায় ছিলাম না। এদিকে আমার অনুপস্থিতিতে একটি পরিকল্পিত ঘটনা ও পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। যা গত ৫ আগষ্ট থেকে করে আসছে। তবে গতকাল (সোমবার) বিক্ষুব্ধ মানুষজন সুযোগ বুঝে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ সহ লুটপাত চালিয়ে উল্টো আমার নামে মামলা দায়ের করেছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণসহ সহযোগীতা কামনা করছি, আপনারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন। আমাদের বাড়িতে হামলা- অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় পারিবারিক ভাবে আলোচনা শেষে মামলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে সোমাবর (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বিএনপি সমর্থক হোটেল ব্যবসায়ী ওবাইদুল হকের দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলনের সমর্থকরা বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা। এসময় বিএনপির সমর্থকরা এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনাটি ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১৪ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে থানা পুলিশ ও বিজিবি।
বিজ্ঞাপন