বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:৫৬ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি ও ভূমি জবরদখলের অভিযোগে ঠাকুরগাঁও আদালতে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপিসহ ২৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ পারপুগী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হাবিবুল ইসলাম বাবলু। পরে আদালতের বিচারক রহিমা খাতুন থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন—ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে সাবেক এমপি মাজাহারুল ইসলাম সুজন, মমিরুল ইসলাম সুমন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকালু ডোঙ্গা, একই উপজেলার তাঁতী লীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান শামীম, মহিষমারি গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে হুমায়ূন কবির, কলেজপাড়ার মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে আদম আলী, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ির মৃত শামসুলের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও মমিনুল ইসলাম ভাসানী ও হরিনমারি সরকারপাড়ার মৃত মফিরতের ছেলে মতিন।
এ ছাড়াও রয়েছেন, বেলসাড়া গ্রামের মৃত রহমান আলীর ছেলে জুলফিকার আলী,বামুনিয়া পাড়িয়া গ্রামের মৃত তহিদুল ইসলামের ছেলে ফজলে রাব্বী রুবেল, রাঙ্গাটলি ভানোর গ্রামের দবিরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, আমজানখোর ইউনিয়নের মোড়ল বস্তি গ্রামের মৃত আকালুর ছেলে লাজিব উদ্দীন কালঠু, একই ইউনিয়নের উদয়পুর বাগানবাড়ি গ্রামের ঝরুয়ার ছেলে মুনছুর, কাশিডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইদ্রিশ আলীর ছেলে আজহার আলী, হরিনমারী সরকারপাড়া গ্রামের খতিবতের ছেলে আশরাফুল, সর্বমঙ্গলা বড়বাড়ি গ্রামের মোজাফর রহমানের ছেলে আরজু লিটন, বড়পলাশবাড়ী পূর্ব বড়গাছিয়া গ্রামের শহীদের ছেলে আবু শাহীন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চড়ইগতি গ্রামের ইলিয়াসের ছেলে লাবলু, দোগাছি চাড়োল গ্রামের মৃত কফিজুল হকের ছেলে জিল্লুর রহমান, ভাঙ্গাটুলি ভানোর এলাকার মৃত উলফত উদ্দিনের ছেলে রফিক বিডিআর, আমজানখোর ইউনিয়নের কাশিবাড়ি গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে শাহজাহান, বালিয়াডাঙ্গী ঢেকনাপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আমজানখোর ইউনিয়নের মাহাতবস্তি গ্রামের আকালু ডোঙ্গার ছেলে বাবু, আমজনখোর ইউনিয়নের রত্নাই মারাধার গ্রামের জসীমউদ্দীনের ছেলে তাজু মেম্বার। এ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলার বাদী হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৯০ একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে দখলে রয়েছে ২০ একর, বাকি জমি মামলার আসামিগণ দখল করে রেখেছেন। আশা করছি, আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবো।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে থানায় এজাহারের হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, মামলা নথিভুক্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনবে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন