প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ বানিজ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগ করলেন শিক্ষাথীরা

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ বানিজ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগ করলেন শিক্ষাথীরা

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম:
জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম:

প্রকাশিত: ১০:০৫ ৩১ আগস্ট ২০২৪

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার শরীফের হাট এম ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ বানিজ্য, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

এসময়  সমাবেশে শিক্ষাথীরা  বলেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ যোগদানের পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি সহ বিভিন্ন কলা কৌশলের বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কারণ দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে আসছে। এসময় তারা ফরম পূরণে অতিরিক্ত সেশন ফি, আইডি কার্ড বাবদ ২০০ করে টাকা তিন বছর আগে নিলেও এখন পর্যন্ত আইডি কার্ড দেয়া হয় নাই। প্রশংসা পত্র, ট্রান্সফার সার্টিফিকেটে ২ হাজার টাকা নেয়া হয়। এদিকে সদ্য নিয়োগ দিয়ে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ তুলে ধরেন এই শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে ওই প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে। 
তারা আরও বলেন  প্রধান শিক্ষক কৌশল পরিবর্তন করে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষকসহ সিন্ডিকেট করে নানা অনিয়ম দুর্নীতি শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, বিনা রশিদে অর্থ আদায়, ভুয়া বিল করে টাকা আত্মসাত, কোচিং বাণিজ্য, উপবৃত্তির শিক্ষার্থী নির্বাচনে অনিয়ম,সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি শুরু করেন। এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও শিক্ষার মান উন্নয়নে তার মাথা ব্যাথা নেই।
তৎকালীন সরকারের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় প্রধান শিক্ষক নির্বিঘ্নে নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।  প্রধান শিক্ষক কখনো শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করতেন না। এমনকি এসব অনিয়ম নিয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে উল্টো রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে হুমকি-ধমকি ও নানাভাবে হয়রানি করা হতো।
অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ জানান, অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়।  ব্যক্তি আক্রোশে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন