বুধবার , ১২ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৮ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত: ০৩:২৭ ১১ নভেম্বর ২০২৫
দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে নেমে এসেছে মৌসুমের প্রথম শীত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
ভোরের দিকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় তেঁতুলিয়ার আকাশ। গাছপালা, ধানক্ষেত ও সবজির পাতায় জমে থাকে শিশিরবিন্দু, যেন প্রকৃতি জানিয়ে দিচ্ছে—শীত চলে এসেছে। সকাল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলো ফুটলেও হিমেল বাতাসে ঠান্ডার অনুভূতি স্পষ্টভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৭৮ শতাংশ। পাহাড়ি হাওয়া ও আকাশ পরিষ্কার থাকায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমে আসছে।”
তিনি আরও জানান, তেঁতুলিয়ায় নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তাপমাত্রা ক্রমাগত হ্রাস পাবে। ফলে আগামী দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের ভাষায়, গত কয়েকদিন ধরেই সকাল ও রাতে গায়ে কম্বল না জড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডার প্রভাব বেশি অনুভব করছেন। চা-বাগানের শ্রমিকরাও ভোরের কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে কাজ শুরু করতে কিছুটা কষ্ট পাচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের স্থানীয় কৃষকরা জানান, তাপমাত্রা হ্রাসে রবি শস্য যেমন সরিষা, গম ও আলু চাষের জন্য এটি অনুকূল সময়। তবে অতিরিক্ত কুয়াশা দেখা দিলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও থেকে যায়।
এদিকে সকাল থেকে দিন গড়াতেই তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে সকাল-বিকাল ঠান্ডা আর দুপুরে রোদে গরম—এমন বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার কারণে মানুষজনের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শীত স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা আগেভাগেই নামতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে উত্তরাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
