টানা চতুর্থ দিন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল বন্ধ: রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

টানা চতুর্থ দিন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল বন্ধ: রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

আরিফুল ইসলাম, ঢাকা |
আরিফুল ইসলাম, ঢাকা |

প্রকাশিত: ০৬:২১ ৩১ মে ২০২৫

ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন—সেই হাসপাতালটিই আজ টানা চতুর্থ দিনের মতো বন্ধ। চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা।

শনিবার (৩১ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান দুটি ফটক বন্ধ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ভেতরে অলস সময় পার করছেন। ভেতরে চিকিৎসক বা নার্সদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

একজন রোগী স্বপন তার ছেলে আলামিনকে নিয়ে হাসপাতালে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান। তিনি বলেন, “ছেলের চোখের সমস্যা নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু কেউ নেই। কী করবো বুঝতে পারছি না।”
অপরদিকে ৬০ বছর বয়সী রেখা বেগম বলেন, “আমার চোখের অপারেশন হয়েছিল এখানে। বৃহস্পতিবার এসেছিলাম, তখনও কেউ ছিল না। আজ আবার আসলাম, কিন্তু অবস্থা একই।”

সূত্র জানায়, জুলাই গণআন্দোলনে আহত শতাধিক যোদ্ধা বর্তমানে হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করছেন। তাদের রান্নার জন্য ২-১ জন লোক থাকলেও কোনো চিকিৎসক, নার্স বা অন্যান্য স্টাফ উপস্থিত নেই। মূলত গেল বুধবার নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি পালনের সময় আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হন হাসপাতালের কর্মীরা। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এরপর থেকেই ভীত চিকিৎসক-নার্সরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান এবং হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ নেয় আন্দোলনকারীরা।

এই অবস্থায় হাজারো রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিদিনের সাধারণ চেকআপ, অপারেশন, ওষুধ ও জরুরি চিকিৎসা বন্ধ থাকায় অনেকেই মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে — এই জাতীয় জরুরি পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কেন নীরব?
জনগণের প্রত্যাশা, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে হাসপাতালটি পুনরায় চালু করা হোক এবং চিকিৎসক-নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।

More News BD এই সংকটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এবং অনুরোধ জানাচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের।

বিজ্ঞাপন