রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫ | ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩০ ২৫ মে ২০২৫
অর্থপাচার মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৫ মে) ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলায় পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর এবং জুবায়ের আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। তবে আদালত পাপিয়ার জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফজলুর রহমান।
রায় ঘোষণার দিন পাপিয়া আদালতে হাজির হননি। তার আইনজীবী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চাইলেও বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে জুবায়ের আলম শুরু থেকেই পলাতক, তবে বাকি তিনজন জামিনে থেকে রোববার আদালতে হাজির হন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার টাকা, ২৫ হাজার টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, বিদেশি মুদ্রা ও দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। এরপর ফার্মগেটের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, বিদেশি মদ, নগদ ৫৮ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছিল, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতেন এবং সেই অর্থ দিয়েই বিল পরিশোধ করতেন, যা কোটি টাকারও বেশি ছিল।
পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা, বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং গুলশান থানায় মুদ্রা পাচার আইনে মামলাসহ একাধিক মামলা হয়। এছাড়া দুদক তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলাও করে।
গুলশান থানায় দায়ের করা অর্থপাচার মামলায় ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর সিআইডি অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ২০২২ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন