ভারতকে নাস্তানাবুদ করা সেই ‘ভিক্টোরিয়াস ড্রাগন’ কিনছে বাংলাদেশ!

ভারতকে নাস্তানাবুদ করা সেই ‘ভিক্টোরিয়াস ড্রাগন’ কিনছে বাংলাদেশ!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৬:১৯ ১১ মে ২০২৫

বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে। চীনের তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান JF-17 Thunder Block III, যা আন্তর্জাতিক মহলে 'ভিক্টোরিয়াস ড্রাগন' নামে পরিচিত, সেটি এবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হওয়ার পথে। এই যুদ্ধবিমান কেবল একটি প্রযুক্তিনির্ভর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নয়—বরং এটি একটি কৌশলগত বার্তা, যা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে সক্ষম।

এক সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী নির্ভর করত পুরনো ধাঁচের F-7 ও MiG-21 যুদ্ধবিমানের ওপর, যা ছিল চীন ও সোভিয়েত যুগের স্মৃতি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি সামরিক নীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা করেছেন। তার অধীনে সামরিক কৌশল এখন অনেক বেশি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং আঞ্চলিক বাস্তবতায় অভিযোজিত।

JF-17 Block III যুদ্ধবিমানটি চীন ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি। এতে রয়েছে AESA রাডার, ডিজিটাল ককপিট, আধুনিক BVR (Beyond Visual Range) মিসাইল সাপোর্ট, ইনফ্রারেড অনুসন্ধান ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম। বিশ্লেষকদের মতে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের F-16 এর সাশ্রয়ী ও আধুনিক বিকল্প, যা ইতোমধ্যেই পাকিস্তান দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে কৌশলগত সুবিধা অর্জন করেছে।

বিশ্বস্ত সূত্র ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া'র রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিকভাবে ১৬টি JF-17 Block III যুদ্ধবিমান কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেইসঙ্গে আরও একটি বড় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কেনাকাটার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধিদল সম্প্রতি চীন সফর করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে দেশীয় সামরিক উৎপাদন, ড্রোন প্রযুক্তির হস্তান্তর ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই সামগ্রিক উদ্যোগ থেকে স্পষ্ট হয়, বাংলাদেশ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই সেনাবাহিনীকে আধুনিক করছে না, বরং নিজেকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সম্ভাবনাময় ও ভারসাম্যপূর্ণ সামরিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। ভারতীয় মিডিয়ায় একসময় যাকে 'হুমকি' হিসেবে দেখানো হয়েছিল, সেই যুদ্ধবিমানই আজ বাংলাদেশের আকাশ রক্ষায় যুক্ত হচ্ছে।

সব মিলিয়ে, ‘ভিক্টোরিয়াস ড্রাগন’ এর ডানায় ভর করে বাংলাদেশ যে একটি নতুন প্রতিরক্ষা যুগে প্রবেশ করছে, তা শুধু কৌশলগত নয়, বরং আঞ্চলিক ভূরাজনীতির ক্ষেত্রেও এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

বিজ্ঞাপন