পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে লাখো মানুষ

পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে লাখো মানুষ

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৯:৫৫ ২৬ এপ্রিল ২০২৫

প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য উপলক্ষে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার’স চত্বরে সৃষ্টি হয় শোকের গভীর আবহ। বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশ থেকে আসা প্রতিনিধি, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, ইউরোপের রাজপরিবারের সদস্যসহ লাখো মানুষ সমবেত হয়ে এই মহামানবকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শুরু হয় পোপের অন্তিম প্রার্থনাসভা। বিশাল ব্যাসিলিকা প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সড়কজুড়ে সমবেত হন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিহাসের ১,৩০০ বছরের মধ্যে প্রথম অ-ইউরোপীয় পোপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফ্রান্সিসের বিদায়ে মানুষের আবেগ ছিল অন্যরকমভাবে প্রবল ও গভীর।

বিশ্বনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন, যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস, ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ আরও অনেকে।

এছাড়াও ইতালি, ফিলিপিন্স, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, পোল্যান্ড ও গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ ইউরোপের বিভিন্ন রাজপরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ফ্রান্সিসের মরদেহ তিনদিন ধরে শায়িত ছিল ষোড়শ শতকের সেইন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকায়। বুধবার সকাল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ মানুষ তার কফিনের পাশে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শনিবার সকালে ব্যাসিলিকার প্রধান দরজা দিয়ে মরদেহ বের করে এনে শুরু হয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠান।

প্রার্থনাসভায় প্রয়াত পোপের কফিনের এক পাশে ছিলেন বিদেশি অতিথিরা এবং অন্য পাশে শতাধিক কার্ডিনাল, যারা লাল টুপি পরে অংশ নেন। ৯১ বছর বয়সী ইতালিয়ান পুরোহিত জিওভান্নি বাত্তিস্ত রে এক ঘণ্টাব্যাপী প্রার্থনাসভা পরিচালনা করেন।

আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া পোপ ফ্রান্সিস ৮৮ বছর বয়সে গত সপ্তাহে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর থেকেই দেড়শ কোটির বেশি অনুসারীর ক্যাথলিক চার্চে পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী বিদায় রীতিনীতি।

শেষ প্রার্থনার পর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সান্তা মারিয়া ম্যাগিওরের ব্যাসিলিকায়। সেখানেই তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। জীবদ্দশায় দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের পক্ষে কথা বলা, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও অভিবাসী সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বব্যাপী ব্যতিক্রমী সম্মান অর্জন করেছিলেন।

সমাধিস্থ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৯ দিনের শোকপর্ব। এরপর বিশ্ববাসীর দৃষ্টি যাবে নতুন পোপ নির্বাচনের দিকে, যার মাধ্যমে শুরু হবে ক্যাথলিক চার্চের নতুন অধ্যায়।

বিজ্ঞাপন