বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৮ ৩০ আগস্ট ২০২৪
শ্বশুর বাড়ী বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন জাকির আকন। ছেলে রাকিব আকনের দাবী সৎ মা সোনিয়া বেগম ও তার বাবার বাড়ীর লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা পুজাখোলা গ্রামে ।
জানাগেছে, চার বছর আগে আমতলী উপজেলার বৈঠাকাটা গ্রামের মৃত্যু আব্দুল গনি আকনের ছেলে জাকির আকন পুজাখোলা গ্রামের আনোয়ার ব্যাপারীর কন্যা সোনিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। সোনিয়া তার তৃতীয় স্ত্রী। সোমবার জাকির আকন শ্বশুর আনোয়ার ব্যপারীর বাড়ীতে বেড়াতে যায়। স্ত্রী সোনিয়া বেগমের দাবী তার স্বামী জাকির আকন বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়। এরপর তার হদিস মিলেনি। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর বাড়ীর পাশে বীজ খেতে স্থানীয়রা তাকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তার শ্বশুর আনোয়ার ব্যাপারী জামাতাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন।
মৃত্যু জাকির আকনের ছেলে রাকিব আকনের অভিযোগ তার বাবাকে তার সৎ মা সোনিয়া বেগম ও তার বাবার বাড়ীর লোকজন হত্যা করে মাঠে ফেলে রেখেছে। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহত জাকির আকনের ছেলে রাকিব আকন বলেন, আমার বাবা গতকাল রাতে ফোন দিয়ে বলে আমাকে তুই এসে নিয়ে যা। আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। এরপর থেকে বাবার ফোন বন্ধ পাই। শুক্রবার সকলে জানতে পারি আমার বাবার মরদেহ হাসপাতালে। তিনি আরো বলেন, আমার বাবাকে আমার সৎ মা ও তার বাবার বাড়ীর লোকজন হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
স্ত্রী সোনিয়া বেগমের দাবী আমার স্বামী জাকির আকন বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে বাড়ী যাওয়ার কথা বলে আমার বাবার বাড়ী থেকে চলে যায়। এরপর কি হয়েছে আমি জানিনা। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা জানান আমার স্বামী বীজ খেতে পড়ে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, জাকির আকন নামের একজনের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনার থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন