রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৬:০৬ ৩০ নভেম্বর ২০২৪
কিশোরগঞ্জ জেলার পাগলা মসজিদ দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক এবং জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় স্থাপনা, যা তার দান সংগ্রহের বিশাল পরিমাণ এবং অনন্য দানের বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি মসজিদটির ১১টি দানসিন্দুক খুলে প্রাপ্তি হয়েছে ২৯ বস্তা টাকা, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, সোনার গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ।
প্রতি তিন থেকে চার মাস অন্তর মসজিদটির দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়। এবার ২৯ বস্তা টাকার পাশাপাশি স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।
সিন্দুক খোলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে জেলা প্রশাসক, মসজিদ কমিটি, ব্যাংক কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে। টাকার গণনায় ৩৫০ জন ব্যক্তি কাজ করছেন, যার মধ্যে মসজিদের এতিমখানার শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
পাগলা মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে একটি অত্যাধুনিক ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে, যেখানে অর্ধলক্ষ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৫ কোটি টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
মসজিদটির সঙ্গে বহু মানুষের আস্থার সম্পর্ক জড়িত। অনেকে বিশ্বাস করেন, এখানে দান করলে তাঁদের ইচ্ছা পূরণ হয়। টাকার পাশাপাশি গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, এমনকি নানা ধরনের মূল্যবান সামগ্রী দান করা হয়।
পাগলা মসজিদ দেশের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে একটি অনন্য উদাহরণ। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় প্রার্থনার স্থান নয়, বরং দানের মাধ্যমে সমাজকল্যাণে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
বিজ্ঞাপন