স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ নির্মান করছেন গ্রামবাসী

স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ নির্মান করছেন গ্রামবাসী

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম:
জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম:

প্রকাশিত: ০৭:৫৬ ১৯ অক্টোবর ২০২৪

কুড়িগ্রামে পৌর শহরের ভেলাকোপা গ্রামে যাতায়াতের কষ্ট দুর করতে স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ নির্মান করছেন এলাকাবাসী।দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিক আবেদন করে যথাযথ ব্যবস্থা না পাওয়ায় এমন উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয়রা।পৌর কর দিয়েও পৌর সভার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ড ভেলাকোপা মৌজার হানাগড়ের মাথা থেকে প্রায় ১ কিঃ মিঃ সড়ক বন্যায় ভেঙে যায়। এতে করে ভেলাকোপা ওয়ার্ডের চারটি গ্রাম ও একটি ইউনিয়নের প্রায় ৮ হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে পড়েন চরম বিপাকে। তৎকালীন পৌর মেয়র ও সাবেক মেয়রকে অভিযোগ ও অনুরোধ করে সড়কটির কোন ব্যবস্থা নেন নি।  নির্মান করতে পারে নাই এলাকাবাসী।শেষে গ্রাম বাসী নিজের টাকা দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে।সেটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।প্রতিদিন যাতায়াতকারী কেউ না কেউ দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এমন দূর অবস্থা দেখেও পৌর কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ নির্মানে এগিয়ে আসেন এলাকাবাসী।গত তিন দিন ধরে সকল বয়স ও শ্রেনির মানুষের পরিশ্রম ও অর্থ দিয়ে বাঁধটি নির্মান করছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মাজেদ বলেন,নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা হাজারো প্রতিশ্রুতি দেয়।নির্বাচিত হলে তারা জনগণের আর খোঁজ নেয় না। কুড়িগ্রাম পৌর শহরের চেয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে রাস্তাগুলো বর্তমানে অনেক ভালো।পৌর শহরে বসবাস করে সকল টোল দিলেও পৌর সভার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি এ এলাকার মানুষজন।

অটোরিকশা চালক মোঃ হায়দার আলী বলেন, প্রতিদিন এখানকার হাজারো মানুষের একমাত্র ভরসা এই সড়কটি।বৃদ্ধ শিশুদের নিয়ে খুব কষ্ট করে এ সড়কে চলাচল করতে হয়। অসুস্থ রোগী নিয়ে স্বজনরা তো পড়ে চরম বিপাকে।অথচ কোনো পৌর মেয়র এ রাস্তাটি নিয়ে কাজ করলো না।শেষে নিজেদের কষ্ট নিজেদের দুর করতে হলো।

স্বেচ্ছাসেবক মোঃ নুর ইসলাম নুরু বলেন,আমরা নাম মাত্র পৌর শহরে বসবাস করছি।সকল প্রকার রাজস্ব কর দিয়ে আসলেও আমরা এক নম্বর পৌর সভার সকল সুযোগ সুবিধা থেকে থেকে বঞ্চিত । দূর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস,পুলিশ কিংবা এ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন হলে শুধু মাত্র সড়কের কারনে পাই না।গত ৭ বছর ধরে এ অবস্থা চলছে। জনপ্রতিনিধিরা কথা দিয়ে কেউ কথা রাখে নাই। বাধ্য হয়ে আমরা গ্রামবাসী স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধটি নির্মান কাজ করছি।আশা করছি আর দু একদিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

স্থানীয় সাবেক কমিশনার জমসেদ আলী টুংকু মিয়া বলেন,এ বিষয়ে বারবার কাগজ পত্র নিয়ে ঢাকা যোগাযোগ করা হয়েছে  কিন্তু কোন সমাধান না পাওয়ায় গ্রামবাসীর স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ নির্মান হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন