ইবিতে ভোরে খালেদা জিয়া হলে দুর্ঘটনা

ইবিতে ভোরে খালেদা জিয়া হলে দুর্ঘটনা

তানিম তানভীর - বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
তানিম তানভীর - বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৪৬ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হলের ডাইনিংয়ে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আগুন লাগার আধঘণ্টা পর এক ছাত্রী সিলিন্ডারের ক্যাবল বন্ধ করে দিলে এবং ভেজা বস্তা দিয়ে আগুন বন্ধ করেন। সিলিন্ডারের পাইপে লুজ কানেকশনের কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


জানা যায়, হলটির ডাইনিংয়ের গ্যাসের চুলায় গতকাল নতুন সিলিন্ডার লাগানো হয়। পরে আজ সকালে ছবিরা খাতুন নামের রান্নার কর্মী গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের মুখ থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে এক ছাত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডারের লাইন বন্ধ করে দিলে আগুন নিভে যায়। সকাল ৭টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা আগুন লাগার কারণ বিশ্লেষণ করেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আগুন লাগার ঘটনাটি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ঘটেছে। সিলিন্ডারের পাইপে লুজ কানেকশন ছিল। যার ফলে সিলিন্ডার অন করতে গেলেই আগুনের ঘটনা ঘটে। আমরা সবকিছু চেক করেছি, আপাতত বিপদমুক্ত। ঘটনার জন্য হলের ম্যানেজারের গাফিলতির রয়েছে বোঝা যায়।'

হলের আবাসিক ছাত্রীরা বলেন, সকালে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ ডাইনিংয়ে আগুন দেখি। পরে হলের সব ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আমরা তাৎক্ষণিক জরুরি সেবার নম্বরে (৯৯৯) কল দেই। আমাদের দাবি হলে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করতে হবে এবং এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। এছাড়া তারা ক্যাম্পাস নিকটস্থ জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নির্মাণের দাবি জানান এবং হলটি পুনরায় নতুন করে সংস্কারের দাবিও জানান।


এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. এরশাদুল হক বলেন, আমাকে কল দেওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছি। এছাড়া ছাত্রীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে শনিবারের মধ্যেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করা হবে।

হলের ডাইনিং ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা নারগিস খাতুন বলেন, হলে বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে হিটার চালানো আপাতত বন্ধ আছে। আমাদের দুই জায়গায় রান্নার জন্য একটি চুলায় সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বেশকিছুদিন যাবৎ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। এর আগেও ছবিরা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেছে। তবে আজকের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।


প্রসঙ্গত, এর আগেও হলে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার কারণে একাধিকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফলে দুই বর্ষের ছাত্রীদের শিক্ষকদের কোয়ার্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে।  

বিজ্ঞাপন