চাটমোহরের নাট্যজন দুলাল শিল্পকলা একাডেমির সদস্য মনোনীত

চাটমোহরের নাট্যজন দুলাল শিল্পকলা একাডেমির সদস্য মনোনীত

জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:
জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:

প্রকাশিত: ০৬:২৩ ২৯ অক্টোবর ২০২৪

পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিশিষ্ট গণনাট্যকার, অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান দুলাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনা পরিষদের সদস্য মনোনীত হয়েছেন।

গত ১৭ অক্টোবর সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে সরকার তিন বছর মেয়াদী ২৬ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ গঠন করেছে। রাজশাহী বিভাগ থেকে একমাত্র আসাদুজ্জামান দুলাল এ পরিষদে স্থান পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে নাট্যচর্চায় নিবেদিত প্রাণ আসাদুজ্জামান দুলাল নিজেই নাটক রচনা, নির্দেশনা এবং অভিনয় করে আসছেন। মামুনুর রশীদের মুক্তনাটকের সাথে জড়িত ছিলেন। সমন্বয় থিয়েটার নামের একটি স্থানীয় নাট্যদলের কর্নধার দুলালের বেশ কয়েকটি নাটক পরিবেশিত হয়েছে। ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি তার নাট্যদল নিয়ে নাটক প্রদর্শন করেছেন। শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক জাবি’র নাট্যতত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জামিল আহমেদ চাটমোহরে এসে মাটিতে বসে দুলালের গণনাটক দেখেছেন।

চাটমোহর পৌরসভার আফ্রাতপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মরহুম কেরামত আলী মাস্টারের ছেলে আসাদুজ্জামান  দুলাল। তার পিতাও শিক্ষকতার পাশাপাশি মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন। চাটমোহরে মুক্তনাটক, পথনাটক আর মঞ্চ নাটকের রুপকার দুলাল।

শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনা পরিষদের সদস্য মনোনীত হওয়ায় উচ্ছসিত চাটমোহরবাসী। অনেকেই দুলালকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

চাটমোহরের বাসিন্দা তার এক সময়ের সতীর্থ অভিনেতা, নাট্যকার, পরিচালক বৃন্দাবন দাস, তার স্ত্রী অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি, সংবাদকর্মী ও এক সময়ে নাট্য সহকর্মী আব্দুল মান্নান পলাশ, রাজিউর রহমান রুমী তাকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

চিত্রগৃহ চাটমোহরের পরিচালক জেমান আসাদ বলেন, ‘যে মানুষটা নাটকের জন্য সারাজীবন নিংড়ে দিয়েছেন। জীবিত থাকা অবস্থায় এ সম্মান তার প্রাপ্য ছিলো। আমরা আশা করছি, চাটমোহরের মাটির উর্বরতায় নাটকের সোনালী ফসল ফলানো আসাদুজ্জামান দুলাল এবার দেশের শিল্পকলা বিকাশে আলোকিত ভূমিকা রাখবেন।’

দুলালের এক সময়ে নাট্য সহকর্মী ও সংবাদকর্মী আব্দুল মান্নান পলাশ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য গৌরবের। দুলাল চাইলে অনেক বছর আগেই ঢাকায় গিয়ে একজন বড় নাট্যকার পরিচালক হতে পারতেন। কিন্তু চাটমোহরের মাটি তিনি ছাড়েননি। গণনাটক, পথনাটক ফেলে নিজের স্বার্থে বড় হতে চাননি। নিরবে নিভৃতে মানুষের জন্য নাটক করে গেছেন। এমন মানুষ পাওয়াটাও গর্বের। তার এমন প্রাপ্তিতে আমরা উচ্ছসিত।’

পিতার কোলে বসে নাটক দেখা আসাদুজ্জামান দুলাল তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি অতি সাধারণ একজন ছা পোষা মানুষ। শুধুমাত্র চাটমোহরকে ভালবেসে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেকে থিয়েটার করে যাচ্ছি। তবে সেটি থিয়েটার হচ্ছে কিনা বলতে পারছি না। ১৯৮৫ সাল থেকে লেগে আছি থিয়েটারের সাথে। যারা আমাকে শিল্পকলা একাডেমিতে স্থান দিয়েছেন পছন্দ করেছেন, আমি তার যোগ্য কিনা জানিনা। চেষ্টা থাকবে ভাল কিছু করার। তাদের সম্মান রাখার চেষ্টা করবো।’

বিজ্ঞাপন