বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৬৪ বছর আগে স্বাক্ষরিত ‘সিন্ধু নদ চুক্তি’ নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিয়েছে ভারত। সেই নোটিশে চুক্তির কয়েকটি ধারা পর্যালোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভারত সম্প্রতি পাকিস্তানকে সিন্ধু নদ চুক্তি নিয়ে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। এই নোটিশে চুক্তির কয়েকটি ধারা পর্যালোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে, চুক্তির ১৩ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারাটি পর্যালোচনার জন্য বলা হয়েছে।
ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানের একাধিক ভুল পদক্ষেপের কারণে চুক্তির বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে এবং এই চুক্তি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে । এই বিষয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানকে ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
ভারতী উপমহাদেশের দীর্ঘতম নদী সিন্ধু তিব্বতের মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের জম্মু-কাশ্মির বং পাকিস্তানের কাশ্মির বা আজাদ কাশ্মিরের গিলগিট-বাল্টিস্তানের ভেতর দিয়ে দেশটির পুরো দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে প্রবাহিত হয়ে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচির কাছে আরব সাগরে মিলিত হয়েছে।
৯ বছর ধরে আলোচনার পর ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিন্ধু নদ চুক্তি (ইন্দুস ওয়াটার ট্রিটি- আইডব্লিউটি) স্বাক্ষর করে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। মধ্যস্থতাকারী এবং সাক্ষী হিসেবে বিশ্বব্যাংকও স্বাক্ষর করেছিল চুক্তিতে।
ভারতের ওই কর্মকর্তা বলেন, “জম্মু-কাশ্মিরে আমাদের দু’টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এ কারণে চুক্তির ১৩ নম্বর ধারার ৩ ধারাটি আমাদের পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছি। বিশ্বব্যাংকও এ ইস্যুতে উভয়পক্ষের সমঝোতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলোয়ামায় পাকিস্তানপন্থি জঙ্গিদের হামলা এবং তার জেরে কয়েক মাস পর নয়াদিল্লি কর্তৃক জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্বশাসন বাতিলের পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতেও। সিন্ধু নদ চুক্তি সেসবেরই একটি অংশ।
এর আগে এই চুক্তি বিভিন্ন ধরা পর্যালোচনা করার জন্য বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে সালিশী বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান; তবে ভারত সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
বিজ্ঞাপন