ভারতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থেমে নেই বাংলাবান্ধার রপ্তানি প্রবাহ

ভারতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থেমে নেই বাংলাবান্ধার রপ্তানি প্রবাহ

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ০৭:১৬ ১৯ মে ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে প্লাস্টিকসহ কিছু পণ্যের আমদানিতে ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে রপ্তানিযোগ্য একটি পণ্যবাহী ট্রাক ফেরত এসেছে। ট্রাকটিতে কয়েক লাখ টাকার পিভিসি দরজা ছিল, যেটি রোববার (১৯ মে) বিকেলে ফেরত পাঠানো হয়। তবে একই দিনে এই স্থলবন্দর দিয়ে নয়টি ট্রাকে প্লাস্টিক দানা ও দশটি ট্রাকে কটন র‌্যাগস ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি ট্রাকে আলু নেপাল রপ্তানি হয়েছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর মূলত ভারত ও ভুটান থেকে আমদানিকৃত বোল্ডার পাথরের ওপর নির্ভরশীল। রপ্তানি হয় সীমিত পরিসরে, যার মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক পণ্য, কটন র‌্যাগস এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী। ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার ফলে কিছু পণ্যের রপ্তানি সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও বন্দরের প্রতিদিনের কার্যক্রমে বড় ধরনের কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। এখনো প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাক পাথর আমদানি হচ্ছে এবং অন্যান্য রপ্তানি কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে।

স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুমন ইসলাম জানান, রোববার ভারতে একটি পিভিসি দরজাবাহী ট্রাক রপ্তানির কথা ছিল, কিন্তু ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সেটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোয় তা ফেরত পাঠানো হয়। তবে অন্যান্য পণ্য যথারীতি রপ্তানি হয়েছে।

বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকার যেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেগুলো এই বন্দর দিয়ে খুব কম পরিমাণেই রপ্তানি হতো। ফলে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এখানে উল্লেখযোগ্য নয় এবং বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ভারত সরকারের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রমে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। সামান্য কিছু পণ্যে সীমিত সমস্যা দেখা দিলেও, মূল কার্যক্রম স্বাভাবিক এবং চতুর্দেশীয় এই স্থলবন্দর এখনো কার্যকরভাবে চলমান।
খাদেমুল ইসলাম/ এম এন পি 

বিজ্ঞাপন