ককটেল বিস্ফোরণে শ্রীপুরে দুই নারীসহ আহত ৪

ককটেল বিস্ফোরণে শ্রীপুরে দুই নারীসহ আহত ৪

উপজেলা প্রতিনিধি, শ্রীপুর (গাজীপুর):
উপজেলা প্রতিনিধি, শ্রীপুর (গাজীপুর):

প্রকাশিত: ১১:০৯ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারীসহ চার জন আহত হয়েছে। এসময় হামলাকারীরা হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। উভয় পক্ষ বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে গাজীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা (তরমুজপাড়া)  গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন সাহেরা খাতুন (৫৫), খাদিজা বেগম (৪০), সোহরাব (৫০) এবং খায়রুল ইসলাম (৩৫)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত সাহেরা খাতুনকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। অন্যান্যরা এ হাসপাতাল থেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ধনুয়া গ্রামের মৃত নজুম উদ্দিনের ছেলে আজগর আলীর সাথে পাশের নগরহাওলা (তরমুজপাড়া) গ্রামের আব্দুল মতিনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। জমি ভোগ দখলে থাকা আব্দুল মতিন জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করছে। প্রতিপক্ষ আজগর আলী সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়। এসময় আব্দুল মতিনের ছেলে সোহাগের নেতৃত্বে ২০/২৫জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আজগর আলীর লোকজনের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় দুই নারীসহ চার জন আহত হয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগী আজগর আলী বলেন, আমি পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিক। কিন্তু আব্দুল মতিন অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে আমার জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আছে। জমি আব্দুল মতিনের কাছ থেকে দখলে নিতে চাইলেই তার ভাড়াটে লোকজন বাধা দেয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

অভিযুক্ত আব্দুল মতিন বলেন, ওই বিরোধীয় জমি নিয়ে গাজীপুর আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই আজগর আলী ভাড়াটে লোকজন নিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক জমি দখল নেয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে জমির প্রকৃত মালিক কে। তিনি বলেন ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটেনি।

বিজ্ঞাপন