বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫২ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় গত ৩০ মাসে ৪১টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ১৭টি বাল্যাববাহ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় আরডিআরএস প্রশিক্ষণ কক্ষে চাইল্ড নট ব্রাইড প্রকল্প আয়োজিত ‘বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ বন্ধে যুব নেতাদের সাথে সুশীল সমাজ ও সংগঠনসমূহের যোগসূত্র স্থাপন’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদা পারভীন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আলী আর রেজা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মারুফ রায়হান, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ নুর বখত, জেলা কাজী সমিতির সভাপতি নুরুজ্জামান, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য, চাইল্ড নট ব্রাইড প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
প্লান ইন্টারন্যাশনালের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় আরডিআরএস বাংলাদেশ’র চাইল্ড নট ব্রাইড প্রকল্প সূত্রে জানানো হয়, গত ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১ হাজার ৩৩৬টি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে রেজিস্ট্রিকৃত বিবাহ হয় ১ হাজার ২৯৫টি। অনিবন্ধিত বিবাহ হয় ৪১টি। এসময়ে ৪১টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও এলাকার যুব ও যুবতীরা ১৭টি বাল্যবিবাহ রোধ করে। বাল্যবিবাহের ঘটনাগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশী বাল্যবিবাহ ১৬টি হয়েছে হলোখানা ইউনিয়নে। এছাড়াও ভোগডাঙ্গায় ১১টি, যাত্রাপুরে ১০টি, পৌরসভায় ৯টি, ঘোগাদহে ৬টি, ৩টি করে পাঁচগাছী ও মোগলবাসা ইউনিয়নে, বেলগাছায় ২টি এবং কাঁঠালবাড়ীতে ১টি।
চাইল্ড নট ব্রাইড প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ইউনিয়ন ভিত্তিক যুব প্লাটফরমের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ রোধে স্থানীয় অংশীজনকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সদরে ঝুঁকিপূর্ণ ১ হাজার ২৩০জন শিশুর তালিকা করে তাদেরকে বিভিন্ন ট্রেডে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের আওতায় নেয়া হয়েছে। যাতে করে তারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদা পারভীন জানান, বাল্যবিবাহ নামক সামাজিক ব্যাধি থেকে কিশোরীদের রক্ষা করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রকল্পটি যেহেতু প্রত্যন্ত এলাকার যুবদেরকে নিয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে; সেহেতু সেখানে বাল্যবিবাহ রোধে যে কোন ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা প্রস্তুত আছি। যাতে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ নিজেরাই সম্পূর্ণভাবে বাল্যবিবাহ রোধে স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসে।
বিজ্ঞাপন