বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:২৭ ৩১ অক্টোবর ২০২৪
পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবু তালেব মন্ডল বলেছেন, 'হাসিনা ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মানুষকে হত্যা, গুম ও আয়নাঘর তৈরী করেছেন। তিনি বলেছিলেন হাসিনা পালায় না। অথচ লজ্জাজনকভাবে তিনি সব নেতাকর্মী ফেলে পালিয়ে গেছেন। সকল হত্যার হুকুমের আসামী হিসেবে হাসিনার বিচার বাংলাদেশে হতে হবে। এ সকল অপকর্মের সব দায়দতায়িত্ব হাসিনার। হাসিনাকেই এর জবাব দিতে হবে। আইনের আওতায় এনে ওই আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিচার হতে হবে।'
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে পাবনার সাঁথিয়ায় পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলার দেবীপুর তেবাড়ীয়া কলেজ মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন শাখা। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পৈশাচিক পল্টন হত্যা দিবস স্মরণে ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড এবং ২০২৪ সালের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সামাবেশ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর আবু তালেব মন্ডল তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘আন্তর্জতাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনাল গঠন করে আমাদের অনেক ভাইকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছেন। এত নির্যাতন করার পরও তিনি জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূণ্য করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে ভেবেছিলেন জামায়াতে ইসলামী খতম হয়ে গেছে। কিন্তু দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন অনেক বেশি জনশক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত। জামায়াতে ইসলামীকে খতম করা যাবে না ‘
তালেব মন্ডল বলেন. ‘যারা পহেলা আগষ্টে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। চারদিন পরই এদেশের জনগণের কাছ থেকে তারাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। তারা ধোঁয়া তোলে জামায়াতে ইসলামী একটি সন্ত্রাসী মৌলবাদী দল। সাম্প্রদায়িক দল বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। এবারও দূর্গাপূজায় মন্দির ভাঙা হবে বলে ধোঁয়া তুলেছিল। অথচ যত হিন্দুদের মন্দির ভাঙা, জমি দখল, চাঁদাবাজী সব আওয়ামীলীগ করেছে। জামায়াতে ইসলামীর একটি কর্মীও কারো বাড়ি ভাঙতে যায়নি। কারো বাড়িতে আগুন দেয়নি, মন্দির ভাঙতে যায়নি। জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রসাী দল নয়, সন্ত্রাসী দল হলো আওয়ামীলীগ।’
ভূলবাড়িয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোখলেছুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক আনিসুর রহমান, ছাত্রশিবির আতাইকুলা থানা শাখার সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুর, সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসাইন, সাবেক সভাপতি হায়দার আলী প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন