নুরুল হুদার পর এবার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার!

নুরুল হুদার পর এবার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার!

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০৮ ২২ জুন ২০২৫

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে এখন ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ২০২৪ সালে নির্বাচন করে ‘আমি-ডামি ভোট’ উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ওই কমিশনের বেশিরভাগ কার্যক্রম নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

ওই নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন।

যে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। একই মামলা অতীতের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা ও এই তিন নির্বাচনে ‘জয়লাভ’ করা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নামেও করা হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের পর হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছিলেন। আজ তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর আগে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময়ে তার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।

২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যকার ভোটযুদ্ধকে অনেকেই ‘আমি-ডামি ভোট’ উপাধিতে অভিহিত করেছেন। নির্বাচন কমিশনের বেশিরভাগ কার্যক্রম ছিল বিতর্কিত এবং জনগণের মধ্যে ব্যাপক সন্দেহের সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে ভোটের হার সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে কমিশন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

ভোটের দিন দুপুর ৩টা পর্যন্ত ভোটের হার মাত্র ২৭.১৫ শতাংশ ছিল বলে অফিসিয়ালি জানানো হলেও, এক ঘণ্টার মধ্যেই তা হঠাৎ ৪০ শতাংশে বৃদ্ধি পায়। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ভোট পড়ার হার ২৮ শতাংশ উল্লেখ করলেও পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের তথ্য প্রদান করেন। এই অনিশ্চয়তা ও অসঙ্গতি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

বিএনপি এই নিয়ে একটি মামলা দায়ের করে যেখানে সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও পূর্ববর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, ওই নির্বাচনে ভোটের হেরফের ও জালিয়াতির মাধ্যমে ‘জয়লাভ’ নিশ্চিত করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার বিক্ষোভ ও অভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে কঠিন সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এরপর থেকে কাজী হাবিবুল আউয়াল জনসাধারণের চোখ থেকে লুকিয়ে ছিলেন। আজ পুলিশের একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গত রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন তিনি এবং পরে পুলিশ তাকে তুলে নেয়।

রাজনীতি ও নির্বাচন ব্যবস্থায় এই গ্রেপ্তারের ফলে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী দিনে এই মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া কী দিকে এগোবে তা দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক মহল খুবই উৎসুক চোখে দেখছে।

 

বিজ্ঞাপন