সাগর-রুনি হত্যা মামলা:১৩ বছরেও রহস্য উন্মোচন হয়নি

সাগর-রুনি হত্যা মামলা:১৩ বছরেও রহস্য উন্মোচন হয়নি

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১১:১৫ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে টানা বিলম্বের কারণে তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ নির্দেশ দেন।

আজকের তারিখে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আদালত নতুন করে আগামী ৩০ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন। এ নিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ইতিমধ্যেই ১২১ বার পেছানো হলো।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের নির্দেশে তদন্তকারী কর্মকর্তা, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক আদালতে উপস্থিত হয়ে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে মৌখিকভাবে ব্যাখ্যা দেন। এরপর আদালত তাঁকে দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এক যুগ পেরোলেও তদন্তের গতি নেই

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর সরওয়ার তখন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন এবং মেহেরুন রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।

ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও দ্রুতই তদন্তভার হস্তান্তর হয় ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি)। কিন্তু মাত্র ৬২ দিন পরই ব্যর্থতার কথা জানিয়ে ডিবি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর আদালত মামলার দায়িত্ব দেয় র‌্যাবকে।

প্রায় এক যুগ তদন্তের দায়িত্বে থাকার পর ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর র‌্যাবের কাছ থেকে মামলা হস্তান্তর করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক এ মামলার দায়িত্বে রয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন বর্তমানে জামিনে আছেন, আর ছয়জন কারাগারে রয়েছেন। তবে এত দীর্ঘ সময়েও মামলার কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি হয়নি, যা সাংবাদিক সমাজসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

 

বিজ্ঞাপন