বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:০২ ২৩ অক্টোবর ২০২৪
আবহাওয়া অফিস বলছে- ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
এমন অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।
এ অবস্থায় সবার মধ্যেই উদ্বেগ— কখন, কোথায় আঘাত হানতে পারে ‘দানা’।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে এর গতিপথ পরিবর্তনও হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
বিজ্ঞাপন