ইরানের পাল্টা আঘাত: কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইরানের পাল্টা আঘাত: কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:২১ ২৩ জুন ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার একদিন পর প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ‘আল-উদেইদ’ এবং ইরাকের ‘আইন আল-আসাদ’ ঘাঁটিতে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভি এই খবর নিশ্চিত করেছে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে। এই আগ্রাসনকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়ে ইরান দাবি করে, সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ও খাতাম আল-আম্বিয়া কমান্ডের নির্দেশে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোর (IRGC) পবিত্র কোড “ইয়া আবা আব্দিল্লাহ আল-হুসাইন (আঃ)” ব্যবহার করে কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

এই ঘাঁটি মার্কিন বিমান বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সদর দপ্তর এবং এটি পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে কৌশলগত সামরিক ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। ইরানি বাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হোয়াইট হাউস ও তার মিত্রদের উদ্দেশে এই হামলার বার্তা স্পষ্ট — ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান কখনোই তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব বা জাতীয় নিরাপত্তার লঙ্ঘন জবাবহীন রাখবে না।

এদিকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আইন আল-আসাদ মার্কিন ঘাঁটিতেও একই সময়ে হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ। রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, হামলার সময় ঘাঁটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে। অ্যাক্সোইস সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইরান ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উক্ত মার্কিন ঘাঁটির দিকে।

এই ঘটনার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। কাতারের রাজধানী দোহায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অন্যদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ইরান মোট ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর দিকে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি জানিয়েছে, এই প্রতিশোধমূলক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে “বিজয় বার্তা”।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা-পাল্টা হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে এবং এটি ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘাতের রূপ নিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক কূটনীতির তৎপরতা বাড়ানো না গেলে অঞ্চলটি আরও অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হতে পারে।

বিজ্ঞাপন