সোমবার , ২৩ জুন, ২০২৫ | ৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৩:২৫ ২২ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় ‘খুবই সফল’ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান। ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, “আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে খুব সফলভাবে হামলা চালিয়েছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।”
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রটি মাটির ২৬২ ফুট গভীরে অবস্থিত এবং সেখানে ভারী বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলা চালানো মার্কিন বিমানগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে আরও লেখেন, “এই হামলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং পুরো বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।” তার এই বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার স্ফুলিঙ্গ দেখা দিয়েছে।
এই ঘটনার সময় ইরান সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান হয়তো এই হামলার পাল্টা জবাব দিতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে।
বিশ্ব নেতারা এই ঘটনার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়া এই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু এই ধরনের সরাসরি সামরিক অভিযান কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুনভাবে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। এই হামলার ফলে বিশ্ববাজার, বিশেষ করে জ্বালানি তেলের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন