Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

দুই মাসের মধ্যে মারা যেতে পারেন বাইডেন!

দুই মাসের মধ্যে মারা যেতে পারেন বাইডেন!

দুই মাসের মধ্যে মারা যেতে পারেন বাইডেন!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:২৩ ১৯ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে। বাইডেন প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন—এই খবর প্রকাশের পর মার্কিন রাজনীতির মেগা গ্রুপের প্রভাবশালী মুখ লরা লুমার দাবি করেছেন, বাইডেন ‘টার্মিনাল ক্যানসারে’ আক্রান্ত এবং তার বেঁচে থাকার সময় মাত্র দুই মাস বাকি। লুমারের এই দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে এবং তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

লরা লুমার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একাধিক পোস্টে জানান, তিনি গত বছর জুলাইতেই বাইডেনের টার্মিনাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, যা এখন বাস্তবে প্রমাণিত হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “আমি চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতি নিয়ে সঠিক ছিলাম। বাইডেন যখন মারা যাবেন, তখন সবাই বুঝবে আমি সঠিক ছিলাম। অনেকেই আমার কাছে ক্ষমা চেয়েও ফেলেছে।”

তিনি একটি পুরোনো পোস্টও শেয়ার করেছেন, যেখানে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাইডেনের মৃত্যুর বিষয়ে তার পূর্বাভাস উল্লেখ ছিল। লুমারের মতে, জো বাইডেনের ছোট ভাই ফ্র্যাঙ্ক বাইডেন একবার ভুলবশত মুখ ফসকে বলেছেন প্রেসিডেন্ট ‘টার্মিনাল ক্যানসারে’ ভুগছেন। সেই তথ্যটি সে সময় গোপন রাখা হয়েছিল, কিন্তু এখন তা সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।

লুমার হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে বাইডেনের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখার অভিযোগও তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বাইডেনের সঙ্গে চিকিৎসকদের একাধিক গোপন বৈঠক হয়েছে যা লগ চেক করলে পাওয়া যাবে। তার ভাষায়, “হোয়াইট হাউসের চিকিৎসকরা তথ্য লুকিয়েছেন এবং রেকর্ড জালিয়াতি করেছেন।”

অন্যদিকে, লুমার ২০২২ সালের একটি ভিডিওও শেয়ার করেছেন, যেখানে বাইডেন নিজেই বলেন, “আমার ক্যানসার আছে।” যদিও তখন হোয়াইট হাউস জানায়, বাইডেন আগে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সারিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু লুমার এই ঘটনা ‘হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি’ বলে অভিহিত করেছেন এবং দাবি করেছেন, বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পুরো সময়জুড়ে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন, কিন্তু প্রশাসন বিষয়টি গোপন রেখেছিল।

লুমারের শেষ বক্তব্য ছিল, “সবাই চাই বাইডেন সুস্থ হোক, কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি আর সেরে উঠবেন না। আমাদের উচিত এখন সত্য স্বীকার করে এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা।”

এই দাবির পর থেকেই বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে, আবার কেউ কেউ বলেন, এটি বাইডেনের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রকাশ হওয়া সত্যিকার তথ্য। হোয়াইট হাউস থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল মন্তব্য বা প্রতিবেদন আসেনি।

বিশ্বজুড়ে এবং বিশেষত মার্কিন জনসাধারণের মধ্যে বাইডেনের স্বাস্থ্য ও ক্ষমতা নিয়ে কৌতূহল ও উদ্বেগ বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রেসিডেন্টের জনসভায় উপস্থিতি কম এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাইডেনের প্রকাশ্য ভূমিকা সীমিত দেখা গেছে। এসব তথ্যের প্রেক্ষিতে লুমারের বক্তব্য নতুন মাত্রা পেয়েছে।

তবে, বাইডেনের দল এবং সমর্থকরা বারবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য এখনো স্থিতিশীল এবং তিনি তাঁর দায়িত্ব নির্বাহী করছেন। তারা এসব দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।

এই বিতর্কের মাঝে সাধারণ মানুষ এবং রাজনীতিবিদদের দৃষ্টি এখন বাইডেনের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির প্রতি। আগামীদিনে হোয়াইট হাউস থেকে আসা অফিসিয়াল আপডেট এবং প্রেসিডেন্টের অবস্থার বিস্তারিত তথ্যই সবার কৌতূহল মিটিয়ে দিতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/