বুধবার , ১৩ আগস্ট, ২০২৫ | ২৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৪:২৫ ১৩ আগস্ট ২০২৫
দেশের কৃষি খাতে বৈচিত্র্য ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে নতুন দিগন্ত খুলে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় প্রথমবারের মতো খিরা, কচুর লতি, কাঁঠাল, বিটরুট, কালোজিরা, বস্তায় আদা, রসুন, হলুদ এবং খেজুরের গুড় উৎপাদনকে কৃষি ঋণের আওতায় আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠানে কৃষি ঋণ বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এসব ফসল চাষে ঋণ চালু হলে কৃষকের আয় বাড়বে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে, রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কৃষকদের সহায়তা বাড়াতে হবে এবং তাদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে। তিনি সতর্ক করেন, প্রকৃত কৃষকের হাতে ঋণ পৌঁছাচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং দালালদের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আরও উচ্চাভিলাষী হওয়া উচিত। ক্ষুদ্র কৃষি উদ্যোক্তাদের কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেন তিনি, যাতে সবাই লাভবান হয় এবং দেশও উপকৃত হয়।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষকদের জন্য ৩৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ করেছে, যা গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার কোটি টাকার চেয়ে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।
বিজ্ঞাপন