Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

আজ স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন

আজ স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন

আজ স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০৩ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

একটি আদর্শ ও সুন্দর পরিবারের পেছনে স্ত্রীর অবদান অনস্বীকার্য। প্রচলিত প্রবাদ আছে—“সংসার সুখী হয় রমণীর গুণে।” যদিও সংসারকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে স্বামী–স্ত্রী উভয়ের সমান ত্যাগ, ইচ্ছা ও ভালোবাসার প্রয়োজন হয়, তবুও পরিবারের ভারসাম্য রক্ষায় স্ত্রীই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি দুই হাতে সামলান স্বামী, সন্তান ও সংসারের প্রতিটি দিক।

স্ত্রীর পরিশ্রম ও ত্যাগের স্বীকৃতি যখন স্বামী প্রশংসা বা উৎসাহের মাধ্যমে প্রকাশ করেন, তখন তার মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। সংসারের কাজে বেড়ে যায় আগ্রহ ও আনন্দ। অথচ বাস্তবে দেখা যায়, আমাদের সমাজে গৃহিণীদের কাজকে প্রায়শই স্বাভাবিক বা বাধ্যতামূলক মনে করা হয়। অনেক স্ত্রী তাদের কাজের সামান্য স্বীকৃতিও পান না। অথচ পরিবারের শান্তি ও স্বামীর সাফল্যের পেছনে স্ত্রীর নিরলস অবদান অমূল্য।

এই কারণেই প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার যুক্তরাষ্ট্রে উদযাপন করা হয় “স্ত্রীর প্রশংসা দিবস”। প্রথমবার ২০০৬ সালে দিবসটি পালন করা হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো স্ত্রীর প্রতি সম্মান, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করা।

প্রশংসা যেকোনো মানুষকেই আনন্দিত করে, তবে স্ত্রীর কাছে স্বামীর প্রশংসার মূল্য সবচেয়ে বেশি। কারণ, সংসারের প্রতিটি সাফল্যেই তার শ্রম, ত্যাগ ও স্নেহ জড়িয়ে থাকে। কোনো স্বামী যখন স্ত্রীর কাজের প্রশংসা করেন, তখন তাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। এতে পারিবারিক বন্ধনে তৈরি হয় পারস্পরিক সম্মান ও ভালোবাসা। আবার অনেক স্বামী আছেন যারা কখনো স্ত্রীর প্রশংসা করেন না, বরং খুঁতখুঁতানি করেন। এমন পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকে। সমীক্ষা বলছে, দুঃসময়ে প্রথম যে মানুষটি স্বামীর পাশে দাঁড়ায়, কঠিন সময়ে ভরসা জোগায়, সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে—তিনি স্ত্রী। তার ভালোবাসাই স্বামীকে অনুপ্রাণিত করে পরিশ্রম করতে এবং প্রতিদিন নতুন করে শুরু করতে।

স্ত্রীর প্রশংসা দিবসে বিশেষ কোনো আয়োজন না করলেও ছোট্ট কিছু পদক্ষেপ তার হৃদয় ভরিয়ে দিতে পারে। যেমন—তাকে সুন্দর একটি ফুলের তোড়া উপহার দেওয়া, প্রিয় কোনো রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়ানো, নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ানো, কিংবা ছোট একটি উপহার দিয়ে চমকে দেওয়া। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাকে আন্তরিকভাবে বলা—“আমি তোমাকে ভালোবাসি।” এ কথার চেয়ে বড় উপহার হয়তো আর কিছু নেই।

পৃথিবীর অনেক মহান মানুষ তাদের জীবনের সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন স্ত্রীকে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম—তাদের জীবনেও স্ত্রী ছিলেন অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসার প্রতীক। সত্যিকার ভালোবাসা মানে নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে প্রিয়জনকে সুখী রাখা, আর সে ভালোবাসার সবচেয়ে বাস্তব উদাহরণ একজন স্ত্রী।

প্রশংসা করতে কোনো খরচ নেই, কিন্তু এর প্রভাব অসাধারণ। প্রশংসা মানুষকে উজ্জীবিত করে, নতুন অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই, স্ত্রীকে শুধুমাত্র আজ নয়, প্রতিদিনই সামান্য হলেও প্রশংসা করা উচিত। কারণ, একজন স্ত্রীই পরিবারের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেন, ভালোবাসেন নিঃস্বার্থভাবে। আজকের দিনে তাই প্রতিটি স্বামী লুফে নিতে পারেন সুযোগটি—স্ত্রীর চোখে আনন্দের ঝিলিক ছড়িয়ে দিতে একটুখানি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার প্রকাশেই।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/