বৃহস্পতিবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:১৮ ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
গরীব দেশগুলোতে এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, টিউবারকিউলোসিস এবং সদ্যোজাত শিশুদের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন এই প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার একটি বড় অংশ বন্ধ হয়ে গেল।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) তাদের সহযোগী সংস্থাগুলোকে কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই একটি নির্বাহী আদেশে এই সহায়তা বন্ধ করার ঘোষণা দেন। এই আদেশের আওতায়, অন্তত ৯০ দিন কোনো ধরনের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ সহায়তা প্রদান করা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় কাজ করা প্রতিষ্ঠান চেমোনিকস ইতোমধ্যে এইচআইভি ও ম্যালেরিয়ার ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। ইউএসএইডের গ্লোবাল হেলথের সাবেক প্রধান অতুল গাওয়ান্দে এই সিদ্ধান্তকে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন,
“যুক্তরাষ্ট্রের দান করা ওষুধ বিশ্বব্যাপী দুই কোটি মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছিল। এখন সেই কার্যক্রম থেমে গেছে।”
অতুল আরও বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে এইচআইভি সংক্রমণ বাড়তে পারে, এবং অসুস্থদের জীবন আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। স্টকে থাকা ওষুধ থাকা সত্ত্বেও তা আর সহায়তা নেওয়া দেশগুলোর কাছে পাঠানো যাবে না।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তারা মার্কিন সহায়তা গ্রহণকারী দেশগুলো পর্যবেক্ষণ করবে। তবে পর্যবেক্ষণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সহায়তা স্থগিত থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংকট বাড়াবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মৃত্যুহার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।###
বিজ্ঞাপন