১৩ নভেম্বর ঘিরে তৎপর ইবির আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তারা

১৩ নভেম্বর ঘিরে তৎপর ইবির আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তারা

রাত পোহালেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলার রায় কবে দেয়া হবে। এই দিন সারাদেশে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকার কর্তৃক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দল আওয়ামী লীগ৷ দিনটিকে ঘিরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তারাও তৎপর হয়ে উঠেছে  বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তারা একাধিকবার মিটিং করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

গোপন সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের একটি কক্ষে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তারা মিটিং করেন। মিটিংয়ের নেতৃত্বে ছিল সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ আসকারী ও সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। এছাড়া মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ড. আহসানুল আম্বিয়া ও অধ্যাপক ড. শাহজালাল মন্ডল।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সাবেক ভিসি ড. হারুন অর রশীদ আসকারী আমার বন্ধু। দীর্ঘদিন তার সাথে সাক্ষাৎ হয় না। সেই কারণে ব্যক্তিগতভাবে আমি তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর ড. আনোয়ারের সাথে দেখা হয়। এছাড়া এসময় আরো কয়েকজনের সাথে দেখা হয়েছে। তবে সেটা বিভিন্ন সময়। এর বাইরে কোন মিটিং বা অন্য কিছু ছিল না।’

সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ আসকারী বলেন, ‘এখানে মিটিংয়ের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি ভিসি ছিলাম, দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে আসায় তারা আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। যারা এসেছিল তাদের মধ্যে ড. শাহিনুর রহমান আমার সহকর্মী, আনোয়ার আমার ছাত্র ছিল। তাদের সাথে সব সময়ই আমার দেখা হয়। তারা সকলেই আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিল, অন্য কোন মিটিং হয়নি।’

 

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে আগামী ১৩ নভেম্বর। পুলিশ বলছে, দিনটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার নীলনকশা এঁকেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। দলটি দেশব্যাপী লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তাদের মূল লক্ষ্য সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা, আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং জনমনে আতঙ্ক ছড়ানো।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/