শুক্রবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত: ০৫:৪১ ১৪ নভেম্বর ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচিত স্বর্ণের দোকান লুটের মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত (শ্রীপুর)–এর বিচারক জেসমিন নাহার আসামি কবির ওরফে ফরমা কবির (৩ নম্বর আসামি) এবং কবির হোসেনকে (৫ নম্বর আসামি) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান সরকার প্রদীপ জানান, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আদালতের কাছে তারা জোরালোভাবে জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালতও মামলার গুরুত্ব, আলামত ও সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ বিবেচনায় তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
ঘটনার বিবরণ
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় মসজিদ গলিতে অবস্থিত স্থানীয় ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের মালিকানাধীন ‘রিতা জুয়েলার্স’ স্বর্ণের দোকানে পরিকল্পিতভাবে লুটপাট চালানো হয়।
সেদিন দোকান বন্ধ থাকলেও প্রথমে স্থানীয় ব্যবসায়ী সুব্রত দাস ও পায়েল সরকারের নেতৃত্বে ২০–২৫ জন যুবক দোকানের সাইনবোর্ড খুলে জোরপূর্বক ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা দোকানের স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজেও এই ঘটনার প্রমাণ মেলে।
মামলা ও অগ্রগতি
ঘটনার পরদিন দোকান মালিক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস শ্রীপুর থানায় একটি মামলা (নম্বর ৬৭(১০), ২০২৫) দায়ের করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস বলেন,
“দিনের আলোয় যেভাবে হামলা ও লুটপাট হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। বহু বছর ধরে আমি ব্যবসা করছি, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি কখনো হইনি। মূল পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা হোক।”
তিনি আরও বলেন,
“বিচার হলে ভবিষ্যতে অন্যরা এমন অপরাধ করতে সাহস পাবে না।”
পুলিশের বক্তব্য
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান,
“দুই আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। দ্রুত তদন্ত করে লুট হওয়া সম্পদের উদ্ধার ও সকল আসামিকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।”
গাজীপুরের এই স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও যথাযথ বিচার ও নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
