Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

ইবিতে র‍্যাগিংয়ের দায়ে ছয় শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ

ইবিতে র‍্যাগিংয়ের দায়ে ছয় শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ

ইবিতে র‍্যাগিংয়ের দায়ে ছয় শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে র‍্যাগিং চলা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা হয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। সোমবার  মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ৩৩০ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এসময় অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থীকে ইবি থানায় পুলিশি হেফাজতে সোপর্দ করা হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের শরীফ শেখ (শিহান) সাব্বির হোসেন, লিমন হোসেন, কান্ত বড়ুয়া, সাকিব খান এবং ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া।

জানা যায়, রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভুক্তভোগীদের লালন শাহ হলের ৩৩০ নং রুমে ডাকেন অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগীরা হলেন- সাইম, রাকিবুল, শামীম, রাকিব, হামজা, তারেক, রিশান, তানভীর এবং মামুনসহ কয়েকজন। এক পর্যায়ে চারজনকে রেখে (শামীম, সাইম, রাকিবুল, হামজা) বাকিদের এসাইনমেন্ট লেখা লাগবে বললে ছেড়ে দেয় অভিযুক্তরা। পরে চারজনের ওপর সাব্বির ও সঞ্চয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ উঠে।

এসময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজনকে পাঁচ রকম হাসি দিতে বলা হয়, আরেকজনকে কল দিয়ে বাজে ভাষা বলতে বলা হয় ও আরেকজনকে নাচতে বলা হয়৷ এসময় হলের সিনিয়র শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না উপস্থিত হয়ে তাদেরকে হাতেনাতে ধরেন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের থানায় পুলিশি হেফাজতে সোপর্দ করেন। পরে সকালে সাকিব খানের বিরূদ্ধে অভিযোগ না পাওয়া তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ আসে হলের ৩৩০ নং রুমে র‍্যাগিং চলতেছে। অতঃপর আমি সেখানে গিয়ে দেখি, সাব্বির এবং সঞ্চয় দুজন মিলে ওদেরকে র‍্যাগ দিচ্ছে। পরে ঘটনা জিগ্যেস করলে তারা অস্বীকার করে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বন্ধু ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তখন ভুক্তভোগীরা র‍্যাগিং চলছিলো এটা নিশ্চিত করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযুক্তদের থানায় পুলিশী হেফাজতে সোপর্দ করা হয়।’
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রাত এগারোটার দিকে নবীন ১২ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী সাদী অ্যান্ড হাদী ছাত্রাবাসে ডাকে অভিযুক্তরা। অভিযুক্ত আরও হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল ও জিহাদ। পরে ভুক্তভুগীদের রাত আড়াইটা পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে জানা গেছে৷  অভিযো উঠে এসময় তাদের কয়েকজনকে পর্ণ সিনেমার তারকাদের নাম জিগ্যেস করা হয়। কাউকে পর্ণ তারকা সেজে অভিনয়ও করতে বলা হয়। এছাড়া তিনজনকে দিয়ে অশ্লীল কবিতা পাঠ করানো হয় এবং নানারকম হুমকিও দেয়া হয়।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শরীফ শেখ শিহান বলেন, 'আমি হলের কক্ষে ছিলাম না৷ পরে আমাকে ডাকা হয়। এসময় ভিতরে গিয়ে বান্না ভাইকে দেখতে পাই৷ এর আগে গতদিন মেসে জুনিয়রদের সাথে আমরা বসেছিলাম। ওদিন ভিসি, প্রক্টর স্যারের নামসহ বিভাগের সকল শিক্ষকের নাম  জিগ্যেস করা হয়। এসময় কেউ না পারলে তাকে একটু ধমকও দেওয়া হয়। তবে এসময় কারো মারধর বা শারীরিক নির্যাতন করা হয় নি।'

এদিকে ইবি থানার ডিউটি অফিসার এস আই মাসুদ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কাছে ছয়জনকে নিয়ে এসেছে। পরে তাদেরকে থানায় পুলিশি হেফাজতে নিরাপদে রাখা হয়েছে। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/