বৃহস্পতিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪ পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত: ১০:২৮ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শীতকালের ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকের দাঁতের সংবেদনশীলতা এবং মাড়ির জটিলতা বেড়ে যায়। বিশেষ করে দাঁতব্যথা, মুখের শুষ্কতা এবং এনামেল ক্ষয় এই সময় বেশি দেখা দেয়। শীতে অনেকে পর্যাপ্ত পানি পান না, যা মুখের স্বাভাবিক লালা নিঃসরণ কমিয়ে দেয় এবং জীবাণুর আক্রমণের পরিবেশ তৈরি করে।
কেন দাঁত সংবেদনশীল হয়?
ঠান্ডা পানি, মিষ্টি বা খাবারের সংস্পর্শে দাঁতব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত এই সমস্যা দেখা দেয় যখন:
দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়
মাড়ি সরে দাঁতের শিকড় উন্মুক্ত হয়
দাঁতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফাটল থাকে
ঠান্ডা আবহাওয়া দাঁতের স্নায়ুকে সংকুচিত করে, যা ব্যথার অনুভূতি আরও বৃদ্ধি করে।
শীতে দাঁতের যত্নে করণীয়:
দিনে দুবার ব্রাশ করুন। নরম ব্রিসেলের ব্রাশ ব্যবহার করলে এনামেল ক্ষয় কম হয়। দুই মিনিট ধীরে ধীরে ব্রাশ করা যথেষ্ট।
দাঁত সংবেদনশীল হলে সেন্সিটিভ বা ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে পেস্ট আঙুলে নিয়ে ১ মিনিট ঘষা যেতে পারে।
ঠান্ডা পানিতে দাঁতব্যথা বাড়লে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়া বা কুলি করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করে মুখ এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি।
চিনি কমিয়ে ফাইবারযুক্ত শীতকালীন ফল-সবজি খাওয়া ভালো।
সপ্তাহে কয়েকবার গরম লবণ-পানিতে গার্গল করলে মাড়ির প্রদাহ ও জীবাণু কমে।
হাঁটার বা দৌড়ানোর সময় নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া উচিত, যাতে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি মুখে না লাগে।
মাড়ির যত্নও জরুরি
শীতকালে মাড়িতে প্রদাহ, ফোলা বা রক্তপাত বেড়ে যেতে পারে। কম তাপমাত্রায় রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে মাড়ির স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।
ব্রাশের পাশাপাশি ডেন্টাল ফ্লস বা ইন্টারডেন্টাল ব্রাশ ব্যবহার করুন
বছরে অন্তত একবার দাঁতের চিকিৎসক দেখানো উচিত
শীতের আগে বা শীতের সময়ে সাধারণ চেকআপ দাঁতের সম্ভাব্য সমস্যা দ্রুত শনাক্ত করতে সাহায্য করে
শীতকালে দাঁতের যত্ন নেওয়া গেলে সংবেদনশীলতা ও অন্যান্য সমস্যার সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো সম্ভব।
