জেলে বসেই অনার্সে ফার্স্ট, ১২ বছর পর মাস্টার্সেও প্রথম—কে এই রফিকুল ইসলাম?

জেলে বসেই অনার্সে ফার্স্ট, ১২ বছর পর মাস্টার্সেও প্রথম—কে এই রফিকুল ইসলাম?

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০০ ২৭ নভেম্বর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম এক যুগ ধরে স্থগিত থাকা তার মাস্টার্স পরীক্ষার ফল অবশেষে পেয়েছেন। বিস্ময়কর হলেও সত্য—তিনি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন এবং পেয়েছেন সিজিপিএ ৪.০০। রফিকুলের শিক্ষা যাত্রা অন্যরকম; কারাগারে বসেই তিনি অনার্স পরীক্ষা দিয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। কিন্তু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও বিভাগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে তার ওপর থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয় এবং বাতিল করা হয় তার ছাত্রত্ব। এরপর দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আর মাস্টার্সে ভর্তি হতে না পেরে বিদেশে পাড়ি জমান। চীনে মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর রাবি প্রশাসন তার মামলাটি পুনর্বিবেচনা করে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও রিভিউ রিপোর্টের ভিত্তিতে তার ছাত্রত্ব পুনর্বহাল হয় এবং আটকে থাকা ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার প্রকাশিত মাস্টার্স পরীক্ষার ফলে দেখা যায়—তিনি থিসিস গ্রুপে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিভাগে প্রথম হয়েছেন। ফলাফল প্রকাশের পর রফিকুল বলেন, তার পরিবারের একমাত্র ছেলে হিসেবে ভালো ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু অন্যায়ের শিকার হয়ে তিনি দীর্ঘদিন মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেছেন। ১২ বছর পর এই ফল পাওয়া তার জীবনের অন্যতম আনন্দঘন মুহূর্ত।

রফিকুল আরও জানান, ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উইকেন্ড প্রোগ্রামে মাস্টার্স সম্পন্ন করেও সেখানে সিজিপিএ ৪.০০ পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে চীনে মাস্টার্স এবং পিএইচডি শুরু করেন। রাজশাহীতে ছাত্রশিবিরের শিক্ষা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই হয়রানি করা হয়েছিল বলে তিনি মনে করেন। তার ফল প্রকাশে রাবি রাকসুর ভিপি ও ছাত্রশিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এটি শুধু একজনের নয়, বরং বছরের পর বছর একাডেমিক নিপীড়নের শিকার বহু শিক্ষার্থীর ন্যায্যতা পাওয়ার উদাহরণ।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/