শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৬:৫১ ২৪ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে সম্প্রতি নতুন একটি ট্রেন্ডের উত্থান ঘটেছে, যা যাত্রী পরিবহনে নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করেছে—ব্যাটারিচালিত রিকশা। তবে, এই পরিবহনব্যবস্থা কিছু ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো বড় শহরে এই রিকশাগুলির সংখ্যা বাড়তে শুরু করার ফলে শহরের যানজট আরও বাড়ছে, এবং সাধারণ জনগণের চলাচলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলির মূল সুবিধা হল এটি পরিবেশবান্ধব, যেখানে ইঞ্জিনের পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত হয়। এতে করে কম ক্ষতিকারক গ্যাস নির্গত হয়, যা পরিবেশে কম দূষণ সৃষ্টি করে। তবে, এই রিকশাগুলি সাধারণত বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল এবং দীর্ঘ যাত্রায় এটি দ্রুতই ব্যাটারি ফুরিয়ে যেতে পারে। যাত্রীদের জন্য দীর্ঘ যাত্রায় এই রিকশাগুলির বিদ্যুৎ শেষ হয়ে গেলে, মাঝপথে দাঁড়িয়ে পড়ার সমস্যা তৈরি হয়, যা তাদের জন্য আরও একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এছাড়া, এই নতুন রিকশাগুলির যাত্রা ধীরগতি হওয়ার কারণে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে আরো যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে যেখানে ঢাকার রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে এই ধীরগতির ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলি পরিবহনব্যবস্থার গতি আরও কমিয়ে দিচ্ছে, ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে পথচারীদের।
নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালুর ফলে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও, সঠিক রুট নিয়ন্ত্রণ, ব্যাটারির মান এবং রিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তারা আরো পরামর্শ দিয়েছেন যে, এই ধরনের পরিবহনব্যবস্থা যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করা হয়, তবে এটি আরও বড় জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠবে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এই পরিবহনব্যবস্থার নিয়মিত তদারকি এবং নগর পরিবহন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে, তাতে কতটুকু সুফল পাওয়া যাবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
সাধারণ জনগণ আশা করছে, সরকার দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, যাতে ব্যাটারিচালিত রিকশার সুবিধা তারা উপভোগ করতে পারেন, কিন্তু তা যেন তাদের দৈনন্দিন চলাচলে কোনো সমস্যার সৃষ্টি না করে।
বিজ্ঞাপন