শনিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:৩১ ২৩ নভেম্বর ২০২৪
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ইউরোপজুড়ে যে নিরাপত্তা উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তার অন্যতম কারণ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ । ‘ওরেশনিক’ এর ভয়াবহতা চিন্তা করে ইতিমধ্যেই সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে। ইউরোপ জুড়ে আলোচিত এই ‘ওরেশনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে সোমা ইসলামের বিশেষ প্রতিবেদন
‘ওরেশনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র, বর্তমানে গোটা বিশ্ব জুড়ে এক আতংকের নাম। শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি গতিতে উড়ে যাওয়া এই ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতে আধুনিক কোনো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো তৈরি হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেনের দনিপ্রো শহরে একটি নতুন মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ হামলা চালিয়ে রীতিমতো বিশ্ব নেতাদের তথা ঘুম হারাম করেছে বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। অপারমাণবিক হাইপারসনিক কনফিগারেশনের এই ‘ওরেশনিক’ সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। শুধু তাই নয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ কিলোমিটার গতি সম্পন্ন ওরেশনিক মাঝপথে গতিপথ পরিবর্তনের ক্ষমতা থাকায় এটি অনাক্রমণীয়। ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রে তিন থেকে ছয়টি পৃথকভাবে নিয়ন্ত্রিত ওয়ারহেড যা পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘সমসাময়িক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রকৌশলের এক অনন্য সৃষ্টি’ বলেও মন্তব্য করেন পুতিন।
ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, ওরেশনিকের পাল্লা ৩,০০০-৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এটি কপুস্তিন ইয়ার রেঞ্জ থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দনিপ্রো তে আঘাত হানে। এর ফলে ওরেশনিকের মতো নতুন প্রজন্মের অস্ত্র ইউরোপজুড়ে নিরাপত্তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।
বিজ্ঞাপন