বৃহস্পতিবার , ১৭ জুলাই, ২০২৫ | ২ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৬:৫০ ২১ মে ২০২৫
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। তিনি জানান, এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান আগের মতোই রয়েছে এবং দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার একটি নির্বাচিত সরকারের। বুধবার (২১ মে) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসা উচিত এবং তা বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে। জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং যেকোনো উদ্যোগ রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া উচিত।
‘মব ভায়োলেন্স’ বা সংঘবদ্ধ বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এখন আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। জনতার নামে সংঘবদ্ধ সহিংসতা আর বরদাশত করা হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়ার বিষয়েও মত দেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতাদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমেই এমন সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।
সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, কী ধরনের সংস্কার হচ্ছে বা কীভাবে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে—সে বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি, এবং তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো পরামর্শও করা হয়নি।
সামনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাসদস্যদের প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি। মানুষ যেন নিরাপদে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেন।
সবশেষে সেনাবাহিনী প্রধান স্পষ্টভাবে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো এমন কিছুতে যুক্ত হবে না, যা জাতীয় স্বার্থ বা সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর। তিনি সব পর্যায়ের সেনাসদস্যদের নিরপেক্ষ থেকে ভবিষ্যৎ নির্বাচনী দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করছে এবং এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞাপন