শনিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইচ্ছেমতো রঙের ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল প্রিন্টের পোশাক দেখতে একঘেঁয়ে লাগে না।
প্রকাশিত: ০৯:২৫ ৩ আগস্ট ২০২৪
শাড়ি, শার্ট, ড্রেস, সালোয়ার কামিজ, গাউন, জ্যাকেট এমনকি জুতাতেও গত কয়েক বছর ধরে ডিজিটাল প্রিন্টের বৈচিত্র্যময় নকশা দেখা যাচ্ছে।
ব্লক প্রিন্টে সাধারণত কয়েকটি রং ও নকশা ব্যবহার করা যায়। কিন্তু ডিজিটাল প্রিন্টের মজাটাই হলো, এখানে ইচ্ছেমতো সব ধরনের রং ব্যবহার করা যায়। ফলে একঘেঁয়েমি কেটে যায়।
প্রযুক্তির বদৌলতে অন্যান্য প্রিন্টের তুলনায় ডিজিটাল প্রিন্টে নকশা ফুটিয়ে তোলা বেশ সহজ। আবার যেহেতু পুরোটাই কম্পিউটারাইজড, ফলে এর ফিনিশিং একদম নিখুঁত হয়। সবমিলিয়ে ডিজিটাল প্রিন্টের কাপড় অনেক বেশি উজ্জ্বল আর প্রাকৃতিক হয়।
কেমন হবে বৃষ্টি দিনের ফ্যাশনকেমন হবে বৃষ্টি দিনের ফ্যাশন
মানুষ বৈচিত্র্য পছন্দ করে; সবার মাঝে থেকেও নিজেকে আলাদাভাবে প্রকাশ করতে চায়। এজন্য কাস্টমাইজড বা গ্রাহকের নিজেদের পছন্দমত নকশার পোশাকের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে।
অনলাইন ফ্যাশন হাউসগুলো এই সুবিধা বেশি দিচ্ছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান, উপলক্ষ বা জন্মদিন ইত্যাদিতে ডিজিটাল প্রিন্টযুক্ত নিজের নামের পোশাক থেকে শুরু করে কাস্টমাইজড ব্যাগ, কানের দুল, টিশার্ট খুব চোখে পড়ছে।
প্রযুক্তির বদৌলতে অন্যান্য প্রিন্টের তুলনায় ডিজিটাল প্রিন্টে নকশা ফুটিয়ে তোলা বেশ সহজ।
তবে কাস্টমাইজড নকশা আর প্যাটার্নের বাইরেও ডিজিটাল প্রিন্টে কিছু গতানুগতিক প্যাটার্ন সব সময়ই দেখা যায়। পশ্চিমা বিশ্বে বড়দিন, ভালোবাসা দিবস, হ্যালোইন ইত্যাদি ঘিরে যেমন কিছু সিজনাল বা মৌসুমি প্রিন্ট উঠে আসে পোশাকে। উদাহরণ হিসেবে ভালোবাসা দিবসের কথা বলা যায়, যখন টেবিল ক্লথ, বিছানার চাদর, ফার্নিচারের কভার ইত্যাদি সব কিছু হৃদয় আকৃতির প্যাটার্নে ছেয়ে যায়।
হোম ডেকরে এগিয়ে আছে জ্যামিতিক প্যাটার্ন। বৃত্ত, ত্রিভুজ, ডিম্বাকৃতি, বর্গ এমন নানান আকৃতির জ্যামিতিক প্যাটার্ন যোগ করে ঘরের জন্য রেট্রো লুক আনা যায়। এর বাইরে দাবা খেলার চেকারবোর্ডের প্যাটার্ন ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে সব সময় প্রিয়।
গরমে এই ৫ রঙের শাড়ি দেবে আরামগরমে এই ৫ রঙের শাড়ি দেবে আরাম
তবে সমসাময়িক প্যাটার্নগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ফ্লোরাল। ডিজিটাল ফ্লোরাল প্যাটার্নের শাড়ি এখন তরুণীদের চাহিদার শীর্ষে। ব্রোকেড, দামাস্ক, শেভরন, ডিৎসি ইত্যাদি প্যাটার্ন নিয়েও কাজ করেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা।
বিভিন্ন মোটিফ আর জ্যামিতিক প্যাটার্ন দেখা যায় পোশাকে
বিভিন্ন মোটিফ আর জ্যামিতিক প্যাটার্ন দেখা যায় পোশাকে; ছবি-ইয়েলো
কটন, লিনেন, পলিয়েস্টার, ভিসকস, মসলিন, টাঙ্গাইল সিল্ক এমনকি লেদারে ডিজিটাল প্রিন্ট করানো যায়। এটা এই নকশার একটা বড় প্লাস পয়েন্ট।
ডিজিটাল প্রিন্টের ছড়াছড়ি
ডিজিটাল প্রিন্ট নিয়ে আগে থেকেই সরব দেশের পোশাক ব্যান্ডগুলো।
দেশের প্রথম সারিতে থাকা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর অন্যতম ইয়েলোতে গিয়ে দেখা গেল ডিজিটাল প্রিন্টেড থ্রিপিসের চোখজুড়ানো কালেকশন। হালকা নীল, ধূসর, গোলাপি, সাদা, বেইজ রংগুলোর মধ্যে যেমন প্রিন্ট করা ছিল, তেমনি ছিল এমব্রয়ডারি করা গাঢ়রঙা ডিজিটাল প্রিন্টেড লন। ফিরোজা, গাঢ় নীল, অলিভ গ্রিন রঙের লনগুলোর সালোয়ার একই রঙের হলেও ওড়নায় ছিল চোখধাঁধানো ডিজিটাল প্রিন্টের কাজ। এছাড়াও ছেলেদের পোশাকের মধ্যে ছিল মার্ভেলের অ্যাভেঞ্জারস থিমের ডিজিটাল প্রিন্টেড পোলো টিশার্ট।
ঈদে ছেলেদের প্রথম পছন্দ পাঞ্জাবি, কী থাকছে এবারের কালেকশনেঈদে ছেলেদের প্রথম পছন্দ পাঞ্জাবি, কী থাকছে এবারের কালেকশনে
বাচ্চাদের পোশাকগুলোতেও দেখা মিলেছে মজার সব প্রিন্টের। ফ্রোজেন, স্পাইডারম্যান, ডিজনি প্রিন্সেস ইত্যাদি থিম দেখা গেছে ছোটমনিদের টপস আর টিশার্টে।
ডিজিটাল প্রিন্টের পোশাকের সাথে অনুষঙ্গ হবে একদম সাধারণ
ডিজিটাল প্রিন্টের পোশাকের সাথে অনুষঙ্গ হবে একদম সাধারণ। ছবি-ইয়েলো
বাড়াবাড়ি নয় অনুষঙ্গে
ডিজিটাল প্রিন্টের পোশাক নিজেই এতো বেশি ‘ভাইব্রেন্ট’ যে এর সাথে অনুষঙ্গ হওয়া উচিত একদম সাধারণ। যেমন-ডিজিটাল প্রিন্টের শাড়ি পরলে এর সাথে ব্লাউজটা পরা উচিত সলিড কালারের। গলার নেকপিস, কানের দুল, হাতে ধরে রাখা ব্যাগ সবকিছুই হতে হবে একটি রঙের।
তথ্যসূত্র- ক্যানভাস এটসেট্রা
বিজ্ঞাপন