Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

২৪ বছর পর আবেগঘন দিন: সন্তানের মুক্তি ও প্রিয়জন না ফেরার ব্যথা

২৪ বছর পর আবেগঘন দিন: সন্তানের মুক্তি ও প্রিয়জন না ফেরার ব্যথা

২৪ বছর পর আবেগঘন দিন: সন্তানের মুক্তি ও প্রিয়জন না ফেরার ব্যথা

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১২:২৬ ১৪ অক্টোবর ২০২৫

পশ্চিম তীরের রামাল্লা কালচারাল সেন্টার সোমবার আবেগের এক মঞ্চে পরিণত হয়। একপাশে দীর্ঘ ২৪ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া সন্তানের ফিরে আসায় মাতার আনন্দ, অন্যদিকে অন্যপাশে প্রিয়জনের অনুপস্থিতিতে ভেঙে পড়া পরিবারের কান্না—সব মিলিয়ে দারুণ এক মিশ্র অনুভূতির ছবি ফুটে উঠেছে।

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের বহনকারী বাসগুলো রামাল্লায় পৌঁছাতেই হাজারো মানুষ তাদের স্বজনদের খুঁজে পেতে উপস্থিত হয়। কারাগারে দীর্ঘদিন আটক থাকা বন্দীদের ক্লান্ত মুখে অনাহার ও নির্যাতনের ছাপ দেখা যায়।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন সাবের মাসালমা, ফাতাহ গোষ্ঠীর সদস্য, যিনি ষড়যন্ত্র ও প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন। ২৪ বছরের কঠিন জীবন কাটিয়ে বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি স্বজনদের কাঁধে তুলে নেওয়া হয়। পরনে কেফিয়াহ, হাতে বিজয়ের চিহ্ন, এবং মায়ের পায়ের কাছে বসে আবেগের বহিঃপ্রকাশ—সেই দৃশ্যই ছিল অনুষ্ঠানের আবেগময় মুহূর্ত।

সাবেরের ক্ষীণ দেহ দেখে আত্মীয়রা অভিভূত হয়েছেন। কারাগারে অপুষ্টি ও নির্যাতনে ক্ষয়প্রাপ্ত শরীরকে আবার সুস্থ করার তাগিদও জানান তারা। সাবেরের কথায়, কারাগারের অভিজ্ঞতা এক কথায় “ভয়ংকর।” অন্য বন্দীরাও উল্লেখ করেছেন, গত দুই বছর তাদের জীবনের “সবচেয়ে নরকসম সময়” ছিল।

তবে আনন্দের এই ছবিতে ছিল এক কষ্টের ছায়াও। উম্ম আবেদ তার ভাই কামাল ইমরানের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যিনি মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় থাকা সত্ত্বেও বাস থেকে নামেননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গাজায় নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। বারবার কেঁদে কেঁদে উম্ম আবেদ বলেন, “আমরা দুই দিন ধরে ওর অপেক্ষায় ছিলাম। যদি নির্বাসনই হবে, আগে জানানো হয়নি কেন?”

কামালের অন্য আত্মীয় রায়েদ ইমরানও ক্ষোভ ও হতাশায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, “সে কোথায়? আমরা কিছুই জানি না। সব শেষ হয়ে গেছে।” আনন্দের জন্য রাখা ফুল ও মিষ্টি মুহূর্তেই হতাশায় পরিণত হয়।

রামাল্লায় এই দিনটি শুধুই আনন্দ বা বেদনার নয়, বরং ইসরায়েলি দখল নীতির নির্মম বাস্তবতার প্রতিফলন। মুক্তি মানেই পুরো মুক্তি নয়; তার সঙ্গে জড়িত থাকে অনিশ্চয়তা, নির্বাসন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং অপমানের আর্তনাদ।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/