রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:২৩ ৩০ নভেম্বর ২০২৪
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত আমদানি শুল্কারোপ যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমবাজার এবং ভোক্তা অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছে মেক্সিকো। এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ লাখ চাকরি হুমকির মুখে পড়বে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া শেইনবাউম বলেছেন, ট্রাম্পের শুল্কারোপের জবাবে মেক্সিকোও পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে। মেক্সিকোতে উৎপাদিত গাড়ির খরচ বেড়ে গেলে, এর প্রভাব সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান এবং পণ্যের দামে পড়বে।
গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া শেইনবাউম এবং অর্থমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড । প্রতিটি গাড়ির খরচ গড়ে ৩,০০০ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন শিল্পে মেক্সিকো থেকে সরবরাহ নির্ভরশীল অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থান হুমকিতে পড়বে।
ট্রাম্প বলেছেন, ২৫% শুল্কারোপ চীন, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। এর লক্ষ্য মাদক পাচার, অবৈধ অভিবাসন এবং বিদেশি প্রতিযোগিতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন শিল্পকে রক্ষা করা। তিনি দাবি করেছেন, এতে মার্কিন উৎপাদন শিল্প শক্তিশালী হবে।
অর্থনীতিবিদরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন:
1. ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বাড়বে।
2. উৎপাদন খাতে আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইনের ওপর নির্ভরশীল কাজগুলো বিপদে পড়তে পারে।
3. মেক্সিকো এবং কানাডার মতো দেশ পাল্টা পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক আরোপের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
গাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে খরচ বেড়ে যাবে। সাধারণ জনগণ বেশি দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখ কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
ট্রাম্পের প্রস্তাব কার্যকর হলে, এটি শুধুমাত্র মেক্সিকো বা কানাডার জন্য নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্যও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
বিজ্ঞাপন