সোমবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:৫০ ২৭ এপ্রিল ২০২৫
কালবৈশাখীর প্রচণ্ড তাণ্ডবে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ প্রবল দমকা হাওয়াসহ ঝড়ের আঘাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভেঙে পড়ে অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি; ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একরের পর একর ধানক্ষেত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ বয়ে যাওয়া এই দমকা হাওয়ার কারণে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা না গেলেও ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিঁড়ে পড়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘুটঘুটে অন্ধকারে রাত কাটাতে হয় হাজারো মানুষকে।
এদিকে, ঝড়ের আঘাতে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলার জানালার কাঁচ ভেঙে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক রোগী ও তাদের স্বজনরা নিরাপত্তার জন্য ওয়ার্ড ছেড়ে ছুটোছুটি করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক সামছুল আলম (৬০) জানান,
"কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের এখানে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জমিতে থাকা ধান ঝড়ে পড়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে আছে।"
অপরদিকে, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন,
"শনিবার রাতে হঠাৎ ঝড়ে আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।"
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যেই জরুরি বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন