রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:৫৯ ৮ অক্টোবর ২০২৪
শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌরসভায় এবার২১+৭টি ২৮টি পূজা মণ্ডল তৈরি করা হয়। ভক্তপ্রাণের অপেক্ষার উপজেলা মধ্যে বেনাপোল পাট বাড়ি সবচেয়ে বড় উৎসব। প্রহরের অবসান ঘটিয়ে দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে শরতের স্নিগ্ধ আবহে।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালি সনাতন ধর্ম বিশ্ববা সীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ বোধনের ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। মন্দির ও মন্ডবগুলোতে আজ সন্ধ্যায় বসানো হবে বোধন ঘট। পূজার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী আজ বোধন ও আগামীকাল বুধবার ষষ্ঠী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব চলবে। ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে এখন অপেক্ষো সন্ধ্যায় বোধন ঘট স্থাপনের।
পঞ্চমি তিথির শেষে এবং ষষ্ঠীর শুরুতে বেলতলায় মূলত অকালবোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বোধন ঘট স্থাপন ও বন্দনাপূজা করা হয়। শাস্ত্র অনুসারে বোধন অর্থ জাগরণ বা চৈতন্যপ্রাপ্ত। দুর্গা পূজার আগে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনাপূজা করা হয়। বেলশাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। শরৎকালের দুর্গাপূজায় এই বোধন করার বিধান রয়েছে। বসন্তকালে চৈত্র মাসে যে দুর্গাপূজা তথা বাসন্তীপূজা অনুষ্ঠিত হয় তাতে বোধন করার প্রয়োজন হয় না।
বোধন শেষে ষষ্ঠী তিথি থেকে দশহাতে অস্ত্রে সজ্জিত ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার অতল স্নিগ্ধ চোখের পলক খুলে যাবে। জেগে উঠবেন দশভূজা দেবী দুর্গা। তীর-ধনুক, চক্র-গদা, খড়গ-কৃপাণ, কল্যাণ ও ত্রিশুল হাতে শক্তিরূপী দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা অশুভ এবং অকল্যাণের মহিষাসুর বধে মূর্ত হয়ে উঠবেন। ষষ্ঠী পূজা শেষে শুরু হবে মহাসপ্তমী তিথি। মহাসপ্তমীর তিথিতে কলাবউ রূপী নব দুর্গার স্নানসহ দেবী উমার সপরিবারে তিথিবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মহাসপ্তমীতে শাস্ত্রমতে ষোল উপাচারে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয়েছে। দেবীপক্ষের সূচনালগ্নেই ঘোষিত হয়েছে আনন্দময়ীর আগমনী বার্তা। বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারায় শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের। যেমনটি ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, ঈদে মিলাদুন্নবী, বৌদ্ধপূর্ণিমা ও বড়দিন। যশোরে শার্শা উপজেলা এবছর অনেক মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি শুরু হয় কিছুটা দেরিতে। কোথাও কোথাও সীমিত করা হয়েছে আয়োজনও। পূজার পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে গতবছরের তুলনায় কমেছে পূজার সংখ্যা। এবছর উপজেলা মোট পূজা হচ্ছে ২৮টি মন্দির ও মন্ডবে। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে চলমান পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ও আর্থিক সংকট।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিক্ষক বৈদ্যনাথ দাস জানান শার্শা উপজেলা ২১ ও বেনাপোল পৌর সভার, পোর্ট থানার অধীনে ৭ টি পূজা মন্ডপে সিসিটিভির আওতায় এবারের দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।বেনাপোল পাটবাড়ী সার্বজনীন পূজা মন্ডপে ব্যতীক্রম, মন্ডপের মধ্যে বরাবরের মতো এবারো সবচেয়ে আড়ম্বর ও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এখানে পূজা অনুষ্ঠান চলাকালীন দেশ বিদেশ থেকে ভক্তবৃন্দ এবং দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে।
বিজ্ঞাপন