জ্বালানি খাতে ড. ইউনূসের ঐতিহাসিক সাফল্য: সব বকেয়া শোধ!

জ্বালানি খাতে ড. ইউনূসের ঐতিহাসিক সাফল্য: সব বকেয়া শোধ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০৯ ৪ মে ২০২৫

পাঁচ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দেশের ভার নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা ভিত্তিক প্রশাসনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে শুরু করেন। এই প্রচেষ্টার অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত—জ্বালানি খাতের সমস্ত বকেয়া বিল পরিশোধ।

মাত্র আট মাসে এলএনজি আমদানির বকেয়া বিল ৬৬৫.৭৬ মিলিয়ন ডলার থেকে কমে এসেছে মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলারে। ইতোমধ্যে মার্কিন জ্বালানি কোম্পানি শেভরনের কাছে থাকা ২৩৭.৫৫ মিলিয়ন ডলার এবং কাতার ও ওমানের কোম্পানির কাছে থাকা ৩১৭.৪৮ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করা হয়েছে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ অর্জনকে “অভূতপূর্ব” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, বকেয়া বিল পরিশোধে দীর্ঘসূত্রতা শুধু দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছিল না, বরং এর ফলে প্রতিনিয়ত আর্থিক জরিমানার মুখে পড়ছিল বাংলাদেশ। কঠোর আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে।

এই সাফল্যের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থার সক্রিয়তা এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ২৩.৯২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র তিন মাসেই এসেছে ৭.০৩ বিলিয়ন ডলার। এর ২.০৬ বিলিয়ন ডলার এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে—যা মোট রেমিটেন্সের ২৯.২৭ শতাংশ।

যেখানে পতিত শেখ হাসিনার শাসনামলে অর্থনৈতিক অব্যবস্থা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার ছিল নিয়মিত ঘটনা, সেখানে ড. ইউনূস তাঁর সদিচ্ছা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে মাত্র আট মাসে স্থিতিশীলতার নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

আজ জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। এক সময় সমালোচিত ও ঋণগ্রস্ত এই খাত এখন প্রশাসনিক কৌশল ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শনের এক অনন্য উদাহরণ। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের এই অগ্রগতি শুধু আর্থিক নয়, বরং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

 

বিজ্ঞাপন