এবার দক্ষিণবঙ্গ শাটডাউনের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের!

এবার দক্ষিণবঙ্গ শাটডাউনের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০০ ৪ মে ২০২৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। উপাচার্য প্রফেসর ড. শূচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে এবার ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রোববার (৪ মে) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী আরাফাত বকতিয়ার শুভ বলেন,
“ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পরও দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ হয়নি। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আমরা চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি। দাবি না মানলে গোটা দক্ষিণবঙ্গ শাটডাউন করা হবে।”

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একাধিক প্রশাসনিক পদে পক্ষপাতমূলকভাবে বিতর্কিত শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগ।

তারা আরও বলেন, “বহুবার দাবি জানালেও প্রশাসন নিরব থেকেছে। বরং আন্দোলন দমাতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।”

শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বে উপাচার্যের কাছে ২২ দফা দাবি পেশ করা হলেও গত ছয় মাসে তার কোনোটিই বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, গত জুলাইয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত হামলার ঘটনায় আজও কেউ বিচারের আওতায় আসেনি।

এছাড়াও আন্দোলনকারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সহায়তার আবেদন পাঁচ মাস ধরে উপাচার্যের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় পড়ে আছে, যা প্রশাসনের অমানবিকতার একটি বড় উদাহরণ বলে তারা উল্লেখ করেন।

তারা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনো স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রশাসকের থাকার সুযোগ নেই। উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরা গোটা দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেব।”

অন্যদিকে, এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় উপাচার্য ড. শূচিতা শরমিন তার বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামে। পরে এক বৈঠকের মাধ্যমে এক মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছিল।

পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে—উপাচার্য পদত্যাগ না করলে এবার সত্যিই শাটডাউন দেখতে পারে দক্ষিণবঙ্গ।

বিজ্ঞাপন