শনিবার , ০৩ মে, ২০২৫ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ ২ মে ২০২৫
পেহেলগামে প্রাণঘাতী বন্দুক হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভারত যদি যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে, তাহলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের সম্মান রক্ষায় যেকোনো মূল্যে প্রস্তুত থাকার অঙ্গীকার করেছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাসদর দপ্তরে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত স্পেশাল কর্পস কমান্ডার্স কনফারেন্স (সিসিসি)-এ এই বার্তা দেওয়া হয়। বৈঠকে দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় অটল থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ঘটনার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে—সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং ওয়াগা সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে।
প্রতিউত্তরে পাকিস্তানও ভারতীয়দের ভিসা বাতিল এবং প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিসিসি বৈঠকে দুই দেশের বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্ক, ভূরাজনৈতিক পরিবেশ, এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
সেনাপ্রধান আসিম মুনির সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি, পেশাদারিত্ব এবং মনোবলের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন উত্তেজনা দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে, যা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিজ্ঞাপন