সাধারণ যাত্রীর মতো লন্ডনে লোকাল বাসের অপেক্ষায় তারেক রহমান — নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন এই নেতা

সাধারণ যাত্রীর মতো লন্ডনে লোকাল বাসের অপেক্ষায় তারেক রহমান — নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন এই নেতা

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৩:১০ ২ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লোকাল বাসে চলাচলের একটি মুহূর্ত সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। লন্ডনের একটি লোকাল বাসস্টপে সাধারণ যাত্রীর মতো তাকে বসে থাকতে দেখা যায়, যা অনেকে নেতার বিনয় ও সাধারণ জীবনযাপনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে উল্লেখ করছেন।

শুক্রবার (স্থানীয় সময় ১ আগস্ট ২০২৫) সকালে লন্ডনের উত্তরের একটি ব্যস্ত বাসস্টপে দেখা যায় মধ্যবয়সী তারেক রহমানকে। তার পরনে ছিল হালকা নীল ফুলহাতা শার্ট, খাকি রঙের প্যান্ট এবং সাধারণ সাদা স্নিকার্স। হাতে ছিল একটি মোবাইল ফোন। তিনি বসে ছিলেন জনসাধারণের জন্য নির্ধারিত লাল বেঞ্চে, আর অন্য সবার মতোই বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

কিছুক্ষণ পর একটি লাল রঙের ডাবল-ডেকার বাস এসে থামলে অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে তিনিও উঠে পড়েন। পুরো ঘটনাটিতে ছিল না কোনো দেহরক্ষী বা ভিআইপি ব্যবস্থাপনার ছোঁয়া। এমন সাধারণ যাত্রার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে ছবিগুলো ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, “আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে বসবাসকালীন সময়ে কোনো ভিআইপি সুবিধা গ্রহণ না করে সাধারণ মানুষের মতো লোকাল বাসে চলাচল করেন— যা তার বিনয়, সাধারণ জীবনযাপন এবং জনগণের সঙ্গে আত্মিক সংযোগের প্রকৃত প্রতিফলন।”

ছবিগুলো প্রকাশের পর বিএনপি-সমর্থক অনেকেই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তারেক রহমানকে। কেউ লিখেছেন, “নেতৃত্ব এমনই হওয়া উচিত— সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করা।” কেউ বলছেন, “এটাই আসল নেতৃত্ব, যিনি মানুষের মতোই থাকেন।” তারেক রহমানের এ ধরনের সাধারণ ভঙ্গিমাকে অনেকেই ‘নেতৃত্বের নম্রতা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন।

তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ বিষয়টি ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। সমর্থকরা বিষয়টিকে নেতার সাধারণ মানসিকতার প্রকাশ হিসেবে দেখছেন, অপরদিকে সমালোচকদের মতে এটি হতে পারে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ইমেজ নির্মাণের একটি কৌশল। তাদের দাবি, তারেক রহমান বহু বছর ধরেই যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, তবে এতদিনে এই ধরনের ছবি প্রথমবার প্রকাশ পেলো— যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতেই পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে রাজনীতিবিদদের সাধারণ জনগণ থেকে অনেকটা দূরে দেখা যায়, সেখানে এ ধরনের বার্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমন জীবনধারা একটি নেতার মানুষের সঙ্গে সংযোগ ও নৈতিক অবস্থানের পরিচায়ক হতে পারে।

সবশেষে বলা যায়, ছবিগুলোর বার্তা হোক রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তিগত, তা ইতোমধ্যেই জনমনে এক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই সাধারণ রূপ অনেকের কাছে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়কের এক অন্যরকম প্রকাশ বলেই মনে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন