রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:০৫ ২৮ আগস্ট ২০২৪
দেশে সাম্প্রতিক বন্যা ও নদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুখপাত্ররা। বুধবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম।
তিনি বলেন, নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। নদী প্রবাহের সাথে মানুষের জীবনপ্রবাহ জড়িত। সেই অর্থে নদী বাঁচলে, আমরাও বাঁচবো। অথচ দেশের সবগুলো নদী শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। চিহ্নই থাকছে না। নদীর পানি কমে যাওয়ায় কৃষি, শিল্প, সেচ, নৌ-পরিবহন, গাছ-পালা, পরিবেশ, মৎস্য সম্পদ, পানীয় জলসহ বহুবিধ শঙ্কা প্রবল হয়ে জমির উর্বরতা নষ্ট ও শিল্প কারখানা ধ্বংস করে দিচ্ছে। উওরাঞ্চলের পদ্মা, যমুনা, তিস্তা নদীতে সম্পূর্ণ চর পড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তিন দিক দিয়ে ঘেরা বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ ভারত আন্তর্জাতিক নদীর সকল নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করে একতরফাভাবে উজানে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করে। আবার ভরা বর্ষায় অতর্কিতভাবে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে ডুবিয়ে মারে। এবারও ভারত কোনোপ্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশে তাদের সেবাদাসদের টিকিয়ে রাখতে না পেরে প্রতিশোধ পরায়ণ আচরণ হিসেবেই কোনোপ্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়েছে। যার ফলে ইতিহাসের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের মানুষ। ভারতের এমন আত্মঘাতী কার্যক্রমের ফলে ব্যাপক প্রাণহানি, ফসল ও সম্পদের নষ্ট হচ্ছে। যা আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবিলম্বে সীমান্তে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত সব নদীতে আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুসরণ করতে ভারতকে বাধ্য করতে হবে। ঘোষণা ছাড়া রাতের আধারে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে কৃত্রিম বন্যা সংকট সৃষ্টি করে ক্ষয়ক্ষতির দায় ভারতকে নিতে হবে। অন্যথায় এ দেশের আপামর জনতা ভারতকে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
বিজ্ঞাপন