রবিবার , ০৯ মার্চ, ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৪:৫৯ ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী হামলার পর, সারাদেশে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজীপুর থেকে ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার রাতভর গাজীপুরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়, বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের মধ্যে অর্ধশতাধিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুধু গাজীপুর নয়, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত হচ্ছে এই অভিযান। খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মীসহ আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১৪ জনসহ অন্যান্য মামলায় মোট ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপালগঞ্জেও ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি জানিয়েছেন, দেশ স্থিতিশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং সামনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জামিনে মুক্তি পাওয়া অপরাধীদের দিকেও নজর রয়েছে সরকারের।
এদিন সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে, তাদের ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় আটক করা হবে। যতদিন পর্যন্ত শয়তান শেষ না হবে, ততদিন চলবে এই অভিযান।
এছাড়া শনিবার রাতে পুলিশের ৫ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এদিকে, সুনামগঞ্জের কৃষকের ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপরই ঘোষণা করা হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। শনিবার রাত থেকে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে টহল জোরদার করা হয়।
বিজ্ঞাপন