রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৯ ২৩ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে, যা একটি অত্যন্ত ইতিবাচক লক্ষণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তবে তিনি জানালেন, এসব নতুন উদ্যোক্তা অধিকাংশ সময় বিদেশে চলে যান। এই প্রবণতা রোধ করার জন্য তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। তার মতে, দেশের উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাদেরকে দেশে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডির ড্যাফোডিল প্লাজায় আয়োজিত ‘গ্লোবাল অ্যান্ট্রাপ্রেনিউরশিপ উইক ২০২৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে এ অঞ্চলে উদ্যোক্তারা সফল হতে পারেননি। ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় কৃষিকে ধ্বংস করে এবং একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি তৈরি করেছিল, যার ফলে উদ্যোক্তাদের প্রবণতা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, "আমরা স্বাধীনতা লাভের পরেও সেই পুরোনো ধারা থেকে বের হতে পারিনি।" তিনি এ সময় উদ্যোক্তা পরিবেশের উন্নতির জন্য সরকারের সহায়তা এবং পৃষ্ঠপোষকতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, "উদ্যোক্তাদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রয়োজন, যাতে তারা দেশের ভিতরে থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারে।"
এ বছর গ্লোবাল অ্যান্ট্রাপ্রেনিউরশিপ উইক ১৮-২৪ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে, যেখানে ২০০টি দেশের মধ্যে ৪০,০০০ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং প্রায় দশ মিলিয়ন মানুষ এতে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশে এ উদযাপন চলছে ‘বাধা দূর করুন এবং সবাইকে স্বাগত জানান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল অ্যান্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. মো. সবুর খান, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার দক্ষতা বিশেষজ্ঞ গুণীজন দাল্লাকটি এবং বাংলাদেশের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত হোসেন।
তারা সকলেই উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞাপন