রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:৩৩ ১৮ নভেম্বর ২০২৪
আগামী নির্বাচন নিয়ে অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, দুই হাজার মানুষ তাদের পরিবারের কথা চিন্তা না করে জীবন দিয়েছে শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য নয়। যদি এরকম হতো তাহলে বিগত ১৬ বছরে সকল মানুষ এক সঙ্গে রাজপথে নেমে যেত। এই মানুষগুলো এক সঙ্গে নেমেছে যখন খুনি হাসিনার দুর্নীতি প্রত্যেকটি সিস্টেমকে ধ্বংস করেদিয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে প্রত্যেকটি জায়গায় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষের সেবা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল। মানুষকে টাকা দিতে হতো, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল, তখন এই সামগ্রিক সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা এক সঙ্গে রাজপথে নেমেছে। ১৬ বছরে যে সমাধানটি রাজনৈতিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, খুনি হাসিনার পতন রাজনৈতিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেই খুনি হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালন নিয়ে বলেন, আমাদের জায়গা থেকে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিন, চার, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছি না। আবার কেউ যদি বলে ছয় মাস, নেটা তো অযৌক্তিক কথা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১০০ দিনে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি, তবে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলে এই সরকারের অবস্থান আরও ভালো হতো।
তিনি বলেন, বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ চাহিদা মতো কেনাকাটা করতে পারে না। বাজার সিন্ডিকেটগুলো হাত বদল হয়েছে। এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।
এ সময় মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক সানু, সময়ন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন