রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৮ ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম শাহাদাত-বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছাত্রজনতার সংহতি সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বলতে শোনা যায়, তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ যেসব অপরাধ করেছে, আগামী ১০০ বছর জেল খাটলেও তাদের শাস্তি পূর্ণ হবে না৷
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনারা এ দেশের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, গণরুম-গেস্টরুমকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছেন। আপনারা যদি কখনো দেশে ফিরতে চান আপনাদের প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করে ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত নেবে আপনারা দেশে থাকতে পারবেন কি-না। ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন এ দেশে ফ্যাসিবাদের দোসর, লাঠিয়াল বাহিনী ও সহযোগীদের পুনর্বাসন হবে না। আপনারা টুক করে এ দেশে ঢুকে যাবেন এ আশা বাদ দিয়ে দেন।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তিনি ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। সে ওয়েস্টার্ন ও ভারতীয় মিডিয়াকে আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে জিহাদি অভ্যুত্থান বলে প্রচারের চেষ্টা করছে। আমরা বলতে চাই, এটা কোন জিহাদি অভ্যুত্থান ছিল না, এটি ছিল জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমের অভ্যুত্থান। যারা দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিতে জুলুম কায়েম করেছিল, এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা তাদের কবর রচনা করেছি। ভবিষ্যতে যারা জুলুম কায়েমের চেষ্টা করবে তাদের এ দেশের ছাত্র-নাগরিক এক হয়ে রুখে দিয়ে জুলুমকে সমূলে উৎখাত করবে।
হাসনাত বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের সকল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আমরা অনেক শিক্ষক ও প্রক্টর দেখেছি যারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। ছাত্রলীগের হামলায় কেউ মরে গেলে সে হয় আবরার, আর যে বেঁচে যায় সে হয় শিবির। আজকে ছাত্রলীগ তুমি কোথায়, সাদ্দাম-ইনান তোমরা কোথায়? ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ছাত্রলীগের বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছি।
সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আওয়াজ তুলুন গত ১৬ বছরে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, বিএনপির উপর নির্যাতন, শিবিরকে রগ কাটা বলে নির্যাতন করেছে, ভিন্নমতকে কবর দিয়েছে, গত ৩টি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ওই সব সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেওয়া হবে না? তাদের সম্পদ কেন বাজেয়াপ্ত করা হবে না?
এ সময় তিনি, গত ৩টি নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা, সংবিধান বাতিল এবং রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবি জানান।
সংহতি সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবু সাদিক কায়েম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও একতার বাংলাদেশের মুখপাত্র তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আব্দুল ওয়াহেদ, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিজ্ঞাপন