শনিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৬ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দুর্নীতির লাগাম টানতে ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের যাত্রা। বর্তমানে সারাদেশে ৩৬টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে কেন্দ্র করে চলছে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের কার্যক্রম।
তবে, অল্প সংখ্যক কার্যালয় ও সীমিত লোকবল নিয়ে প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে জনপ্রত্যাশা পূরণে সংস্থাটিকে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার ওপর রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক নানামুখী বিরূপ চাপে প্রকৃত কাজের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত দুদক।
মানুষের দরজায় সেবা পৌঁছে দিতে হটলাইন-১০৬, এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ও ফরেনসিক ল্যাবসহ নানা প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সীমিত কার্যালয় ও দক্ষ লোকবল স্বল্পতায় কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটিকে। ফলে বাস্তবায়ন হচ্ছে না দুদক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য।
দুদকে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যারা কাজ করছেন তাদের মতে, সংস্থাটির আসল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পরিচালক থেকে চেয়ারম্যান পর্যায়ে যারা নিয়োগ পান তাদের মধ্যে প্রকৃত নেতৃত্বগুণ সবার আগে থাকা প্রয়োজন। একই সঙ্গে থাকতে হবে দক্ষতা ও সততা। পাশাপাশি প্রয়োজন বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে বিশেষভাবে দক্ষ জনবল, সব জেলায় দুদক অফিস, লজিস্টিক ও কাঠামোগত সহায়তা। না হলে কখনোই দুদক প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের আতঙ্ক হতে পারবে না, কাজের স্বাধীনতা কেবল কাগজে-কলমেই থেকে যাবে।
বিজ্ঞাপন